woman burnt to death: কেরোসিন ঢালে শাশুড়ি, ৯৫ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল শরীর, ৭ বছর পর দোষী সাব্যস্ত তিন

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 10, 2023 | 7:59 PM

woman burnt to death: স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী তপসিয়ায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। হঠাৎ তাঁর শাশুড়ী রকিমা খাতুন এবং ননদ শাকিলা খাতুন তাঁর স্বামীকে বিহারে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

woman burnt to death: কেরোসিন ঢালে শাশুড়ি, ৯৫ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল শরীর, ৭ বছর পর দোষী সাব্যস্ত তিন
প্রতীকী চিত্র
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ২০১৬ সালে এক ভয়াবহ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক গৃহবধূর। দেহের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় তিনদিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন ওই গৃহবধূ। সেই অবস্থাতেও তিনি পুলিশকে বিবৃতি দিয়েছিলেন। ৭ বছর পর সেই মামলায় তাঁর স্বামী শাশুড়ি ও ননদকে দোষী সাব্যস্ত করল নিম্ন আদালত। বউবাজার থানা এলাকার ফিয়ার্স লেনে ওই ঘটনা ঘটেছিল। শ্বশুরবাড়ির দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। গত কয়েক বছরে সরকার পক্ষ ২৬ জন সাক্ষীকে এনেছিল এই মামলায়। সেই শুনানি শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বুধবার এই মামলার সাজা ঘোষণা হবে।

ওই ঘটনায় ফারহা বেগম নামে ২৪ বছরের গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল। সাংঘাতিকভাবে পুড়ে গিয়েছিল তাঁর গোটা শরীর। এক পথচারী সেই মহিলাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই খবর যায় বউবাজার থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। সেখানে তিন দিন বেঁচে ছিলেন ওই গৃহবধূ। চিকিৎসকের উপস্থিতিতে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন তিনি। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেও ১৬৪ ধারা মেনে বক্তব্য রাখেন ওই মহিলা।

স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী তপসিয়ায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। হঠাৎ তাঁর শাশুড়ী রকিমা খাতুন এবং ননদ শাকিলা খাতুন তাঁর স্বামীকে বিহারে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। স্বামী চলে যাওয়ার পর ওই‌ দিনই তাঁর শাশুড়ী রকিমা খাতুন তাঁকে ফোন করে বলে ফিয়ার্স লেনে যেতে বলেন। ফারহা বেগম তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে ফিয়ার্স লেনে যান।

সেখানে ননদ ও শাশুড়ির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি চলে। এরপর শাকিলা তাঁকে ধরে রাখেন, রকিমা অর্থাৎ শাশুড়ি তাঁর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেন। এরপর দেশলাই জ্বেলে দেওয়া হয়। তাঁর শরীরের‌ ৯৫ ভাগ পুড়ে যায়। দু’দিন পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তিনজনকে।

Next Article