Fake Molasses: বাজার থেকে নকল নলেন গুড়ের রসগোল্লা, মোয়া কিনে খাচ্ছেন না তো?

Tanmoy Pramanik | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 29, 2023 | 8:13 AM

Fake Molasses: যাঁরা গাছ থেকে খেজুরের রস নামানোর কাজ করেন তাঁদের মানুষ চেনে শিউলি নামেই। তাঁরাই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে পৌঁছে দেন গুড়ের শাল পর্যন্ত। কিন্তু, কীভাবে এই গুড় সংগ্রহের কাজ হয় জানেন?

Fake Molasses: বাজার থেকে নকল নলেন গুড়ের রসগোল্লা, মোয়া কিনে খাচ্ছেন না তো?
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: শীতের পিঠে পার্বণের জন্য প্রতিবারই মুখিয়ে থাকে আপামর বাঙালি। পাটি স্যাপটা, দুধ পুলি, সরু চাকলি, নাম শুনলেই তো জিভে আসে জল। এই পিঠে পার্বনে অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রয়োজন হয় খেজুরের গুড়ের। শীতকালে খেজুরের ঝোলা গুড়ের মিষ্টি, সন্দেশের চাহিদাও থাকে তুঙ্গে। এদিকে পুজো থেকেই পারাপতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে বাংলায়। কলকাতায় সেভাবে অনুভূত না হলেও গ্রাম বাংলায় চড়চড়িয়ে নেমেছে পারা। বন্ধ হয়েছে রাতের পাখা। তাই শীতের শুরু হতে না হতেই গ্রাম বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ। শীতের বাংলার গ্রামেগঞ্জে শুরু হয়ে গিয়েছে খেজুরের পাটালি তৈরির কাজ। ছড়িয়ে পড়েছে মফঃস্বলে আর শহর কলকাতায়। কিন্তু, এই গুড় নিয়েই এবার শোনা যাচ্ছে উদ্বেগের কথা। সূত্রের খবর, নলেন গুড় বলে বাজারে যা বিকোচ্ছে তার ৭০ শতাংশই নলেন গুড় নয়। কোনটাতে ৩০ শতাংশ ভেজাল, কোনটাতে আবার ৬০ শতাংশই ভেজাল। শুধুই নলেন গুড় নয়, সব গুড়েই ভেজাল মিশছে বলে খবর। 

এদিকে শীতের মরসুমে এই খবরে চিন্তা বেড়েছে আম-আদমির। এক ক্রেতা তো বলছেন, “আমরা তো আর ধান ক্ষেতে গিয়ে ধান দেখতে যাব না। দোকানে যা পাচ্ছি তাই কিনছি। কী করব!” এদিকে শীত পড়তে না পড়তেই শহর ছেয়ে যায় জয়নগরের মোয়া আর নলেন গুড়ে। এদিকে খেজুর গাছের রস আসে কার্ত্তিক মাসের পর। তাহলে রস আসার আগেই টাটকা নলেন গুড় মিলছে কী করে? 

লোকসংস্কৃতি গবেষক ধূর্জটি নস্কর বলছেন, কার্তিক মাসে এখন সব জায়গায় জয়নগরের মোয়া পাওয়া যাচ্ছে। কী করে হচ্ছে। মেদিনীপুর থেকে ছিটে গুড়ের ড্রাম চলে আসে নদী পেরিয়ে। সেগুলিতে সুগন্ধী মিশিয়ে মোয়া করে বিক্রি করা হয়। আসলে তখন তো খেজুরের আসল গুড় পাওয়া কার্যত অসম্ভব। 

এদিকে যাঁরা আসলেই গাছ থেকে খেজুরের রস নামানোর কাজ করেন তাঁদের মানুষ চেনে শিউলি নামেই। তাঁরাই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে পৌঁছে দেন গুড়ের শাল পর্যন্ত। কিন্তু, কীভাবে এই গুড় সংগ্রহের কাজ হয় জানেন? এক শিউলি বলছেন, “আমরা প্রথমে গাছ ছিলা দিই। তারপর হাঁড়ি পাতি। সেখানেই রস জমা হয়। তারপর একদিন অন্দর সেই রস নামিয়ে আনা হয়। অনেকে সেই টাটকা রস কেনেন। সেটাও খাওয়া যায়। অনেকেই আমাদের থেকে সরাসরি ভাঁড় সমেত রস কেনেন। বাকি রস সরাসরি চলে যায় গুড় শালে। সেখানেই আগুনে জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় গুড়।” কিন্তু এই কাজ করে কেমন আয় করেন শিউলিরা? এ বিষয়ে আর এক শিউলি বলছেন, “সারাদিনে ৬০ থেকে ৭০টা গাছ ছোলার কাজ করি। চুক্তি ভিত্তিতে এই কাজ করি। সেই অনুযায়ী মজুরি পাই। গাছ প্রতি ছোলার কাজে ৪০-৫০ টাকা পাই।”  

Next Article