কলকাতা: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বদলে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি। তবে তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করা হয়নি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেকের ও’ব্রায়েন একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে মহুয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। পাল্টা পার্লামেন্টের এথিক্স কমিটির ‘তাড়াহুড়ো’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অপর দিকে তৃণমূলের অপর সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হবে মহুয়াকে।
ঘুষের বিনিময়ে এক শিল্পপতির থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি। এ জন্ট ২ নভেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছে মহুয়াকে। যদিও মহুয়া জানিয়েছেন, ৪ নভেম্বর অবধি নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র কৃষ্ণনগরে একাধিক পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। মহুয়ার বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও সংসদের এথিক্স কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, “এথিক্স কমিটির কাছে যাবেন না তো উনি বলেনি। কিন্তু উনি এক জন সাংসদ। কৃষ্ণনগরে তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু গাজোয়ারি করে এই তারিখের মধ্যে আসতেই হবে বলছে। এত তাড়াহুড়ো কেন?” এর পরই বিধানসভার বিরোধী দলনেতার প্রসঙ্গ টেনে এথিক্স কমিটিকে আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেছেন, “যখন শুভেন্দু অধিকারীর ঘুষ নেওয়ার ভিডিয়োটি বছরের পর বছর তাদের কাছে পড়ে থাকে, তখন এথিক্স কমিটির এই তাড়াহুড়ো কোথায় থাকে? মহুয়া মৈত্রের ক্ষেত্রে এথিক্স কমিটির যত তাড়াতাড়ি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর এথিক্স কমিটির আর সময় হয় না।”
তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, নিজের লড়াই নিজেকেই করতে হবে মহুয়াকে। তবে এথিক্স কমিটি কিছু করতে পারবে না বলে মত তাঁর। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “মহুয়াকে নিজের লড়াই লড়তে হবে। তবে এথিক্স বড় কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। স্পিকারকে জানাতে পারবে।”