Bulldozer in Bengal: যোগীর বুলডোজার বনাম বাংলার বুলডোজার, পার্থক্য বোঝালেন শুভেন্দু
Bulldozer in Bengal: বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে কিছুদিন আগেই তো কানপুর, সহারনপুর এবং প্রয়াগরাজের একাধিক বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়। যদিও যোগী সরকারের সেই বুলডোজার নীতি নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে গোটা দেশেই।
কলকাতা: বুলডোজারের এক আঁচরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে ঝুপড়িগুলি। সজল চোখে তা দেখছেন হাজার হাজার হকাররা। কেউ বলছেন এবার তো চুরি-চামারি করে খেতে হবে। মমতার আল্টিমেটামের পর গোটা রাজ্যেই চলছে হকার উচ্ছেদ অভিযান। তা নিয়েই জোর শোরগোল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের তুলোধনা করতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি বুলডোজারের সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন। রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নামবে বিজেপি। এদিকে বাংলার বুলডোজারের দুরন্ত গতি দেখে কারও কারও মনে পড়ে যাচ্ছে উত্তর প্রদেশের কথা।
বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে কিছুদিন আগেই তো কানপুর, সহারনপুর এবং প্রয়াগরাজের একাধিক বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়। যদিও যোগী সরকারের সেই বুলডোজার নীতি নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে গোটা দেশেই। কিন্তু এবার বাংলার সঙ্গে উত্তর প্রদেশের নাম জড়াতেই শুভেন্দু বলছেন, “ওখানে বুলডোজার চালাতে তিন থেকে চারমাস সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে দুদিনও সময় দেওয়া হচ্ছে না। এখানে যাঁরা বুলডোজার চালাচ্ছে তাঁরা হকারদের বেকায়দায় ফেলছে। ওখানে অপরাধীদের উপর বুলডোজার চালানো হয়েছে।”
এখানেই না থেমে বাংলার আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুর চড়িয়ে বলেন, “বাংলায় কোনও শিল্প নেই, চাকরি নেই। বাংলা থেকে মানুষ চলে যাচ্ছে। বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক বাংলার। এখন বাংলার গরিব লোকেদের তুলে ফেলা হচ্ছে। সেই জায়গাগুলিতে করা হচ্ছে যেখানে বিজেপি প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন।” একইসঙ্গে জায়গা বেছে বেছে, মানুষ বেছে বেছে বুলডোজার চালানোর পিছনেও অন্য গন্ধ পাচ্ছেন শুভেন্দু। স্পষ্টই বলছেন, “এটা বলতে কোনও সমস্যা নেই যে, নিউ মার্কেট, মেটিয়াবুরুজে এটা হচ্ছে না, পার্কসার্কাস, রাজাবাজারে হচ্ছে না। হচ্ছে যদুবাবুর বাজার, হাতিবাগান, গড়িয়া, বিধাননগরে। ওখানেই চলছে লাঠি।”