Andhra Violence: জেলার নাম পরিবর্তন ঘিরে রণক্ষেত্র অন্ধ্রপ্রদেশ! জ্বলল মন্ত্রীর বাড়ি, জারি ১৪৪ ধারা

District Renaming: পরিবর্তনের প্রতিবাদ করে উচ্চবর্ণের কিছু নেতা এ নিয়ে প্রতিবাদে নামে। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে তাঁরা সেখানকার বেশ কিছু এলাকায় ভাঙচুর করে। তার পরই পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে।

Andhra Violence: জেলার নাম পরিবর্তন ঘিরে রণক্ষেত্র অন্ধ্রপ্রদেশ! জ্বলল মন্ত্রীর বাড়ি, জারি ১৪৪ ধারা
জেলার নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক পরিস্থিতি অন্ধ্রপ্রদেশে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2022 | 8:06 PM

অমলাপুরম: জেলার নাম পরিবর্তন নিয়ে আগুন জ্বলল অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসীমায়। বাস ভাঙচুর, পুলিশের উপর আক্রমণ, বিধায়কের বাড়িতে আগুন লাগানো ঘিরে উত্তাল হল পরিস্থিতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সে রাজ্যের শাসক ওয়াইসিপি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে তেলুগু দেশম পার্টি ও জনসেনাকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধীরা।

কী থেকে এই ঘটনা?

অন্ধ্রপ্রদেশ ২৬টি জেলাকে নতুন করে স্বীকৃতি দেয় এ বছরের শুরুতে। ৭ মার্চ অবধি এ নিয়ে ১২০০ অভিযোগ ও পরামর্শ এসেছিল সরকারের কাছে। সে সব বিষয় খতিয়ে দেখে বিভিন্ন জোনের ও জেলার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উঠে আসে। ইস্ট গোদাবরীর অমলাপুরমের নাম পরিবর্তন করে অম্বেদকর কোনাসীমা রাখা হবে বলে ঠিক হয়। ওই এলাকায় প্রচুর তফশিলি জাতির মানুষ বাস করেন। সে জন্যই এই পরিবর্তন বলে জানানো হয় অন্ধ্র সরকারের তরফে। কিন্তু তা নিয়ে প্রতিবাদে নামে অম্বেদকর সাধানা সমিতি। তার পর ঠিক হয়, নতুন নাম হবে অম্বেদকর বা বালাযোগী। কোনাসীমার নাম অম্বেদকরের নামে করার সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানায় বহু মানুষ।

হিংসার ঘটনা

নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ করে উচ্চবর্ণের কিছু নেতা এ নিয়ে প্রতিবাদে নামে। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে তাঁরা সেখানকার বেশ কিছু এলাকায় ভাঙচুর করে। তার পরই পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। নাম পরিবর্তন করা চলবে না, এই দাবি নিয়ে কোনাসীমা সাধনা সমিতি বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে মাথা ফাটে অমলাপুরমের পুলিশ সুপার সুব্বা রেড্ডির। ডেপুটি পুলিশ সুপারও ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয় পড়েন। প্রায় ২০ জন পুলিশকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশকে আক্রমণের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা ৩টি সরকারি ও ২ টি বেসরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। সে রাজ্যের মন্ত্রী বিশ্বরূপ, বিধায়ক পুন্নদা সতীশের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বিশ্বরূপের বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।

পুলিশি ব্যবস্থা

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। এই সব হিংসার ঘটনার পরই ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ওই এলাকায়। পাশাপাশি ৪৬ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে আরও ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের ডিজিপি রাজেন্দ্রনাথ রেড্ডি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে পড়ার জেরেই গতকাল এ রকম হিংসার ঘটনা বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক তরজা

এই হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় জড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক ও বিরোধীরা। সে রাজ্যের শাসকদল YCP হিংসার জন্য দায়ী করেছে বিরোধী দল টিডিপি ও জনসেনাকে। জনসেনা নেতা পবল কল্যাণ সাংবাদিক বৈঠকে শাসকের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবং ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।