দিল্লি: গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) ফের তলব অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে । বুধবার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার ফের কেষ্ট কন্যাকে তলব কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির (ED)। গরুপাচারের কোটি-কোটি টাকার আর্থিক দুনীতিতে সুকন্যাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেও সন্তুষ্ট নয় ইডি এমনটাই গোয়েন্দা সূত্রে খবর। সেই কারণে আজ আবারও জিজ্ঞাসাবাদ।
বৃহস্পতিবার সকালই দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন সুকন্যা। ফাইল হাতে ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে। তবে শুধু সুকন্যা নন, পাশাপাশি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য ও হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারীও পৌঁছন ইডি দফতরে। নথি সহ এ দিন পৌঁছন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রথমে তাঁদের আলাদা-আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, দ্বিতীয় দফায় মনে করা হচ্ছে সুকন্যা-রাজীব ও মণীশকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৭ অক্টোবর সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেইবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এর আগে আরও একবার হাজিরা এড়ান। ২৭ অক্টোবর রাতেই ইডি-র তরফে সুকন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২ নভেম্বর দিল্লিতে এসেই হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। ফলত, সম্ভাবনা ছিলই আর সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করেই গতকাল হাজিরা দেন তিনি। এরপর প্রায় আট ঘণ্টা জেরা করা হয় কেষ্ট কন্যাকে। প্রথমে দফতরে ঢুকে তিনি রিসেপশনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ান তিনি। তারপর একটি মেশিনে সুইচ টিপলে রিসিপ্ট বেরোয়। সেটা হাতে নিয়েই অপেক্ষা করেন সুকন্যা। পরবর্তীতে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
তবে শুধু সুকন্যা নয়, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ইডি দফতরে আনা হয়েছে। গতকালও সুকন্যা-সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। একক জেরায় সায়গল ও সুকন্যার কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখতে পান ইডি কর্তারা। সহজ কথায় জেরা পর্বের শুরু থেকেই দুজনের বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য থাকায় এই সিদ্ধান্ত ইডি কর্তাদের। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় রাউন্ডের জেরা পর্বে প্রশ্নবাণগুলিকে এক সুতোয় বেঁধে ছুঁড়ে দেওয়া হয় সায়গল-সুকন্যার দিকে। প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই অনুব্রত। খবর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে। কিন্তু, ঠিক প্রশ্ন করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে বিশদে কিছু জানা যায়নি।