Bowbazar: সমন্বয় রাখেনি মেট্রো, কেন মাটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা না করেই কাজ? রয়েছে দূরদর্শিতার অভাবও: পুরসভা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 12, 2022 | 12:36 PM

Bowbazar: প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মেট্রো কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয় পাচ্ছেন? প্রশ্ন তুলেছে খোদ কলকাতা পৌরসভার টাউন প্ল্যানিং বিভাগ। তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করেনি মেট্রো।

Bowbazar: সমন্বয় রাখেনি মেট্রো, কেন মাটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা না করেই কাজ? রয়েছে দূরদর্শিতার অভাবও: পুরসভা
বউবাজারে বাড়িতে ফাটল

Follow Us

কলকাতা: বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনে ১০ টি বাড়িতে ফাটলের ঘটনায় এবার মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাল কলকাতা পৌরসভা। সূত্রের খবর, পৌরসভা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে আগেই বলেছিল, টানেল বোরিং মেশিন, সুরঙ্গ খননের মেশিন বার করে নেওয়ার পর ওই এলাকার মাটি পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু সেই সার্ভে করা হয়নি বলে অভিযোগ। কলকাতা পৌরসভার অভিযোগ, মাটি পরীক্ষা না করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ কাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণেই এই বিপর্যয়। দুর্ঘটনার পর কলকাতা পৌরসভার নিজস্ব টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। কিন্তু মেট্রোর তরফে এখনও পর্যন্ত কেউ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেনি। সুরঙ্গ থেকে মেশিন বার করে নেওয়ার পর মাটির কী অবস্থা থাকে, আদৌ এখানে কাজ করা সম্ভব কিনা, সেই সবগুলিই খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মেট্রো কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয় পাচ্ছেন? প্রশ্ন তুলেছে খোদ কলকাতা পৌরসভার টাউন প্ল্যানিং বিভাগ। তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করেনি মেট্রো।

নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, “যে বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে, সেগুলি বিম কলামের বাড়ি নয়। এই বাড়িগুলিতে যদি কখনও ফাটল আসে, তাহলে বুঝতে হবে বাড়ির ভিতের নীচের মাটিতে মুভমেন্ট হচ্ছে। যাকে বলে গ্রাউন্ড মুভমেন্ট। কলকাতার এই এলাকার মাটির যা বৈশিষ্ট্য, তাতে এই ধরনের নির্মাণ কার্য যখন হয়, গ্রাউন্ড মুভমেন্টের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ২০১৯ সালেও তেমনটা হয়েছিল। যেখানে খনন হয়, তার আশেপাশের এলাকাগুলিও স্পর্শকাতর থাকে।”

মেট্রো কর্তৃপক্ষ এখনও কেন কিছু বলছে না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ” ইঞ্জিনিয়ারিং রেসপন্সিবিলিটি অফ দ্যট এরিয়া, এটা মেট্রোর বক্তব্য ছিল। কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররাও পুরোটা দায় নেননি। নিলে ফাটল ধরার আগে, মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার আগে ওঁদের ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল। কিন্তু এখন তো ঝামেলা করে লাভ নেই। পথ বার করতে হবে। যতগুলো বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে, সব কটাকে চিহ্নিত করে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর কথা বলেছি।” এই এলাকাতেই ২০১৯ সালের অগাস্টে ফাটল ধরেছিল একাধিক বাড়িতে। রাতারাতি গৃহহীন হয়েছিল একাধিক পরিবার। সেবার ৩০ টি বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। তারপর একাধিকবার বৈঠকে বসে পৌরসভা-মেট্রো কর্তৃপক্ষ। একাধিক সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু তা যে কার্যকরী হয়নি, তার প্রমাণ মিলল বুধবার রাতেই।

Next Article