নদিয়া: চাঁদে ভারতের ‘বিক্রম’। আর সেই সাফল্যে জুড়ল নদিয়ার রানাঘাটের ছেলে নির্নিমেষ দে’র নাম। যাদবপুরের প্রাক্তনী নির্নিমেষ করোনার সময় সবরকম গোপনীয়তা বজায় রেখে ইসরোর সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ মিশনে কাজ করে গিয়েছেন। পরিবার, বন্ধুবান্ধব সকলের থেকে আড়ালেই রেখেছেন তাঁর কাজকে। চন্দ্রযান-৩ সফল হওয়ার পর নির্নিমেষের নাম প্রকাশ্যে আসতে হকচকিয়ে গিয়েছেন পাড়ার লোকেরা। দারুণ খুশি পরিবারের লোকজনও। ভবিষ্যতেও গবেষণামূলক কাজ করতে চান তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়ই ইসরোর সঙ্গে কাজের সুযোগ আসে নির্নিমেষের। ২০২০ সালে গোটা দেশ লকডাউনে ঘরবন্দি। রাত জেগে চন্দ্রযান-৩ এর কাজ করেছেন তিনি। চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও তার থেকে শিখে চন্দ্রযান-৩ নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক ছিলেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযানের ল্যান্ডার যাতে আরও ভাল হয়, সে কারণে ইসরোর রেসপন্ড প্রকল্পের কাজে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক। তাঁদের নেতৃত্বেই ‘ইন্টার্ন’ হিসাবে কাজ করেছেন নির্নিমেষ।
রানাঘাট শহরের কামারপাড়ায় বাড়ি নির্নিমেষ দে’র। ২০১৮ সালে রানাঘাট পালচৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। সেখান থেকে যাদবপুরে পড়তে আসা। নির্নিমেষের বাবা নির্মলকুমার দে বলেন, “ছোট থেকেই ও খুব সৃজনশীল। নানা যন্ত্রাংশ নিয়ে অ্যাসেম্বল করার দিকে ওর খুব মন। রাত জেগে জেগে এসব করত ও। খুবই ধৈর্য ওর। তবে এত বড় প্রকল্পে যে ও কাজ করেছে ভাবতেই গর্বে বুক ভরে উঠছে আমাদের।” নির্নিমেষের ইচ্ছা, এরকমই গবেষণামূলক কাজে আরও বেশি করে নিজেকে যুক্ত করা।