পেটের সন্তানকে বাঁচাতে খুঁজছিল এক চিলতে নিরাপদ আস্তানা! জলস্তর বাড়তেই সব শেষ

May 27, 2021 | 12:04 PM

সুন্দরবন: সর্বাঙ্গ ছিল জলের নীচে। মুখটা উঁঁচিয়ে কোনওভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছিল ওরা। অবলা প্রাণীগুলোও চেয়েছিল নিজেদের সন্তানকে আগলে রাখতে। পেটে যে সন্তান রয়েছে, তার কথা ভেবে নিরাপদ আস্তানার খোঁজে ওরাও গা ভাসিয়ে দিয়েছিল জলে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জলস্তর বাড়তে থাকায় ওদের গোটা শরীরটাই যায় ডুবে। বুধের বিপর্যয়ের পর বালেশ্বর নদ লাগোয়া গ্রামগুলিতে ছড়িয়ে […]

পেটের সন্তানকে বাঁচাতে খুঁজছিল এক চিলতে নিরাপদ আস্তানা! জলস্তর বাড়তেই সব শেষ
জলে ভেসে যাচ্ছে হরিণের দেহ

Follow Us

সুন্দরবন: সর্বাঙ্গ ছিল জলের নীচে। মুখটা উঁঁচিয়ে কোনওভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছিল ওরা। অবলা প্রাণীগুলোও চেয়েছিল নিজেদের সন্তানকে আগলে রাখতে। পেটে যে সন্তান রয়েছে, তার কথা ভেবে নিরাপদ আস্তানার খোঁজে ওরাও গা ভাসিয়ে দিয়েছিল জলে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জলস্তর বাড়তে থাকায় ওদের গোটা শরীরটাই যায় ডুবে। বুধের বিপর্যয়ের পর বালেশ্বর নদ লাগোয়া গ্রামগুলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সুন্দরবনের (Sundorbon) একাধিক হরিণের দেহ। বাংলাদেশের লোকালয় সংলগ্ন বালেশ্বর নদ থেকে এমন তিনটি হরিণের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। তাদের মধ্যে একটি হরিণ সন্তানসম্ভবা ছিল।

বুধবার ইয়াস (Cyclone Yaas) যখন তার ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে, ভরা কোটাল যখন তার শক্তি প্রদর্শন করছে- ঠিক তখনই অবলা প্রাণী ও তাদের সহযোদ্ধা সুন্দরবনের দুর্গতদের অবস্থা বুক কাঁপিয়েছে। টিভি পর্দায় দুটি ফ্রেমে পাশাপাশি ফুটে উঠেছে নদী পাড়ের মানুষ আর ‘অ’-মানুষের অস্বিত্ব রক্ষার লড়াই।

বিপর্যয় শেষে ধ্বংসলীলার ছাপ ফুটে উঠল গ্রামগুলিতে। বুধবার বিকে(opens in a new tab)লে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদে জোয়ারে প্রথমে একটি হরিণকে ভেসে আসতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। তাঁরাই হরিণটিকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয় হরিণটির। জলে ডুবেই ওই হরিণটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সুন্দরবনের বনবিভাগের কর্তারা বলছেন, ভরা কোটালের জেরে ৭-৮ ফুট উচ্চতায় জল বাড়ে। জঙ্গলের প্রায় সর্বত্রই প্লাবিত হয়ে পড়ে।

জলে ভেসে আসা মৃত হরিণ

আরও পড়ুন: গঙ্গার জল বাড়বে ১৮ ফুট উচ্চতায়, ভাসবে কলকাতা! বিকাল ৪টে পর্যন্ত তিলোত্তমার জন্য বিপর্যয়ের সতর্কতা

পরে বালেশ্বর নদেই আরও দুটি হরিণের দেহ ভেসে আসে। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া তিনটি হরিণই মেয়ে। তাদের বুধবার সন্ধ্যাতেই য় শরণখোলা রেঞ্জ অফিস চত্বরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। একদিকে ইয়াস আর অন্য়দিকে ভরা কোটাল। একেবারে সাঁড়াশি হানা উপকূলবর্তী এলাকায় নদীর জল ঢুকে পড়ে। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে জল ঢুকে পড়ে। এর জেরেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে হরিণের দল। এরপরই খরস্রোতা নদীর জলে ভেসে যেতে থাকে একের পর এক হরিণ। সোনাগাঁ, দয়াপুর, দুলকি, ঝিঙাখালি এলাকাতেও হরিণ উদ্ধার হয় বলে খবর। তবে স্থানীয় দুর্গতরাই তাদের পরিচর্যা করে। পরে খবর পেয়ে বনদফতর তাদের উদ্ধার করে।

Next Article