Durgapur: একে অন্যের নামে হাতে ট্যাটুও করেছিলেন! প্রিয় বন্ধুকেই শেষ করলেন এক মেয়ের চক্করে পড়ে
Durgapur: এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব উঠে আসে। অনিলের সঙ্গে গ্রামেরই একটি মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। আর সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন আকাশ। সেই নিয়েই চলছিল অনিলের সঙ্গে আকাশের বিবাদ।
দুর্গাপুর : পাথর খাদানে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুন! গা ঢাকা দিতে দিদির বাড়িকে আশ্রয়। তারপরও হল না শেষ রক্ষা। পুলিশের জালে অভিযুক্ত বন্ধু। দুর্গাপুরের পারুলিয়া এলাকার ঘটনা। বুধবার রাতে দুর্গাপুরের পারুলিয়া গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় পাথর খাদানে হাত-পা বাঁধা এবং গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ওই যুবকের নাম অনীল ভুঁইঞা। মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
অনিলের মা সীতা জানান, তাঁর ছেলের প্রিয় বন্ধু ছিল আকাশ। অনিলের হাতে আকাশের নাম আর আকাশের হাতে অনিলের নাম ট্যাটু করে লেখা ছিল। সম্প্রতি দু’জনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। আকাশই অনিলকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ করেন সীতা।
এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব উঠে আসে। অনিলের সঙ্গে গ্রামেরই একটি মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। আর সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন আকাশ। সেই নিয়েই চলছিল অনিলের সঙ্গে আকাশের বিবাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভুল বুঝিয়ে অনিলকে আকাশ নিয়ে যান। তারপরেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পারুলিয়ার পাথর খাদানের পাশে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।
পুলিশের দাবি জেরায় জানা গিয়েছে, অনিলের হাত পিছনে বেঁধে এবং দুটি পা বেঁধে গলায় কালো কাপড় জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আকাশ। তারপরেই অন্ডালের বহুলার দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দেন। সেখান থেকেই বুধবার রাতে আকাশকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতকে বৃহস্পতিবার তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা জানতে, জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।