Enforcement Branch raids: এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানা, উত্তরপ্রদেশে পাচারের আগেই বাজেয়াপ্ত প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার ভেজাল ধনে

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 30, 2022 | 1:21 PM

Enforcement Branch raids: গোডাউনগুলি যেভাবে কাদার প্রলেপ দিয়ে সিল করা ছিল তা দেখেই প্রথমে সন্দেহ হয় পুলিশ। পরবর্তীতে সিল খুলে ভিতরে ঢুকতেই দম বন্ধ হয়ে আসে সকলের।

Enforcement Branch raids: এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানা, উত্তরপ্রদেশে পাচারের আগেই বাজেয়াপ্ত  প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার ভেজাল ধনে

Follow Us

নদিয়া: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam Case) মামলায় উত্তাল গোটা রাজ্য। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের(Arpita Mukherjee) একাধিক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড় বঙ্গবাসীর। এরমধ্যে এবার নদিয়ায়(Nadia) হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ(Enforcement Branch)। বাজেয়াপ্ত হল বস্তা বস্তা ভেজাল ধনে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ১ হাজারের বেশি বস্তার ভেজাল ধনে আটক করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। এ খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়েই।   

এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাজিরপুরের মানিকনগর প্রাইমারি স্কুলের পাশে হরেন সরকারের ও সত্য বিশ্বাসের গোডাউনে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ১ ইন্সপেক্টর সহ আটজনের টিম। যদিও তাল্লাশি অভিযানে একেবারে লক্ষ লক্ষ টাকার ভেজাল ধনে উদ্ধার হবে তা প্রথমে ভাবতে পারেননি পুলিশ কর্মীরা। এদিকে গোডাউনগুলি যেভাবে কাদার প্রলেপ দিয়ে সিল করা ছিল তা দেখেই প্রথমে সন্দেহ হয় পুলিশ। পরবর্তীতে সিল খুলে ভিতরে ঢুকতেই দম বন্ধ হয়ে আসে সকলের। দেখা যায় গোটা ডোডাউনই ভর্তি ধনের বস্তায়। এদিকে তখন আবার গোডাউন থেকে ধনে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছিল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। গোডাউনে কর্মরত শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য পায় পুলিশ। তাঁদের সকলেই আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে যে ট্রাকে করে ধনে পাচারের ছক কষা হয়েছিল সেই ট্রাকের চালককেও আটক করা হয়েছে বলে খবর। আটক হওয়া গাড়ির ড্রাইভার জানিয়েছেন “এখান থেকে ধনে লোড করে বারাসাত ও উত্তরপ্রদেশ গোরক্ষপুরে পৌঁছে দেওয়া হয়। তারপরে ওখান থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা কিনে নেন।”

সূত্রের খবর, বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় অনেক সময়ই নষ্ট হয়ে যায় ধনে। সেই ধনে সংগ্রহ করে রাখেন অনেক মহাজন। তারপরই সেগুলিকেই গোডাউনে ঝাড়াই করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মেশানো হয় সালফার গ্যাস। গ্যাস চেম্বারেই রেখে দেওয়া হয় ৭২ থেকে ৮৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। তারপর সেগুলিকে বের করে  ইন্ডাস্ট্রিয়াল কালার মিশিয়ে প্যাকেটজাত করে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, কলকাতার  বড়বাজার ও পোস্তা বাজারে বেশ কয়েকটি মহাজনের সঙ্গে নদিরা এই গোডাউনের আদান-প্রদান রয়েছে। পুলিশ আটক করা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য আদায়ের চেষ্টা করছে। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ ,গুজরাট, এমনকী প্রতিবেশী দেশ নেপালেও পৌঁছে যেত নাজিরপুরের এই ভেজাল ধনে। কিন্তু, প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরে চলল এই কারবার? উঠছে সেই প্রশ্নও। 

Next Article