Photo Gallery: ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে ঘুম উড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরবাসীর, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে কেলেঘাই, বিপাকে প্রায় ৭০ হাজার পরিবার!
TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস
Sep 17, 2021 | 11:26 PM
Purba Medinipur Flood: পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নদী বাঁধ ভেঙে বিপাকে পড়েছে প্রায় কুড়ি হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সত্তর হাজার পরিবার। ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
চন্দ্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে
(নিজস্ব চিত্র)
ভগবানপুর, কাঁটাখালী, তালছিটকিনি, চিস্তিপুর,অমর্ষি সহ বিভিন্ন এলাকা বিপদজনক হয়ে রয়েছে। রাতেই ভাসতে পারে আরও বহু গ্রাম। আশঙ্কায় ঘুম উড়ছে মানুষের। এদিকে ভগবানপুর বিধানসভা লাঙলকাটা এলাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে সবং এলাকায় মানুষজনের বাড়ি ভেঙেছে বৃষ্টিতে। ইটের ভাটা, মাছের ভেড়ি করার বহু জায়গায় জল আটকে বিপাকে ব্যবসায়ীরা। প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা করছে সবাই। এদিকে এলাকাবাসীর ক্ষোভ যে সেচ দফতর কাজ ঠিক করছে না। কাজের মান ও গতি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এদিনই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মায়ানমার উপকূলে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সেটি বাংলা-ওড়িশা উপকূলে সরে আসবে। তার প্রভাবে নতুন করে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতি গভীর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে অতি ভারী থেকে চরম ভারী বর্ষণ হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। একাধিক নদীর জলস্তর বেড়েছে। বাঁধ ভেঙে ডুবেছে ঘাটাল, চন্দ্রকোণায়। এই জেলাগুলিতে ফের ভারী বর্ষণ হলে বিপদ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা।
ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশ মেনে উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরঅফ টিম। চলছে জলমগ্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের কাজ। কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ-ও পৌঁছে গিয়েছে। বিপদগ্রস্থ মানুষকে শুকনো খাওয়ার বিতরণ বিভিন্ন জায়গায়।
আবহাওয়া দফতর বলছে, রবিবার পর্যন্ত এই দুর্যোগ চলবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীরপুরে। আর এতেই ঘুম উড়েছে উপকূলবাসীর। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নদী বাঁধ ভেঙে বিপাকে পড়েছে প্রায় কুড়ি হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সত্তর হাজার পরিবার। ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
এদিন এই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পরিদর্শনে যান রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। দুর্গত এলাকায় গিয়ে সুবিধা অসুবিধা কথা শোনেন তিনি। পাশাপাশি এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা বলেন। কাজের মান ঠিক হয়নি বলেও স্বীকার করে নেন মন্ত্রী। তালছিটকিনির কাছে বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, সেটি কাঁথি সেচ দফতরের আওতাধীন। তিনি জানান, এ নিয়ে সেচ আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। কত তাড়াতাড়ি এই ভাঙন মেরামত করা যায় দেখছেন তাঁরা।