আগ্রা: বন্ধুদের সঙ্গে ফতেপুর সিক্রি (Fatehpur Sikri) বেড়াতে এসেছিলেন। সেখানে একটি মনুমেন্টে উঠে সেলফি তুলতে গিয়েই ঘটে গেল বিপত্তি। রেলিং ভেঙে একেবারে ৯ ফুট নীচে পড়ে গেলেন বিদেশিনী (Foreign tourist) তারপর আর তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। যদিও এই ঘটনার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিদেশিনির সঙ্গীরা। তাঁদের অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্স যথাসময়ে এলে ওই যুবতীকে বাঁচানো যেত। আবার অনেকের অভিযোগ, রেলিংয়ে ফাটল ধরেছিল এবং জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন সেটির সংস্কার করা হয়নি।
আগ্রা প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃত যুবতী বিদেশি পর্যটক। একদল ফরাসি পর্যটকের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ফতেপুর সিক্রিতে বেড়াতে এসেছিলেন। আগ্রায় আসার আগে তাঁরা উদয়পুর এবং ভরতপুরে ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই এএসআই কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এএসআই আধিকারিক ঘটনাস্থলে যান এবং তাঁদের ট্যুর পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবতীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ ফতেপুর সিক্রিতে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসেন ওই যুবতী। তুর্কিশ সুলতানা প্যালেসের ভিতরে একটি মনুমেন্টের রেলিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে তাঁরা সেলফি তুলছিলেন। সেই সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রেলিংটি ভেঙে পড়ে এবং ওই যুবতী প্রায় ৯ ফুট উঁচু থেকে নীচে পড়ে যান। তাঁর দেহের কোনও অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হয়নি। কেবল তিনি অচৈতন্য হয়ে যান। তারপর তাঁর সঙ্গীরা বহু চেষ্টা করলেও তাঁর জ্ঞান ফেরানো যায়নি।
মৃতের সঙ্গীদের অভিযোগ, ঘটনার পরই অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। কিন্তু, প্রায় ১ ঘণ্টা পর অ্যাম্বুলেন্স আসে। তারপর ওই যুবতীকে এসএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এসএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আগে তাঁকে আরও এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখনই তাঁর মৃত্যু হয় বলে সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছেন।
যুবতীর মৃত্যুর ঘটনায় তুর্কিশ সুলতানা প্যালেসে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং অ্যাম্বুলেন্স দেরিতে এসেছে বলেই অভিযোগ তাঁর সঙ্গীদের। সেই অভিযোগ খণ্ডন করে এএসআই সুপারিটেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট রাজ কুমার প্যাটেল জানান, তুর্কিশ সুলতানা প্যালেসের ভিতর খাওয়াবাগ মনুমেন্টের ভিতর রেলিংয়ে ভর দিয়ে একদল যুবতী সেলফি তুলছিলেন। তাঁদের সকলের অতিরিক্ত ভারের কারণেই রেলিংটি ভেঙে পড়ে। অন্যান্য পর্যটকেরা নিজেদের বাঁচিয়ে নিলেও ওই যুবতী নিজেকে আটকাতে পারেননি। ফলে ৯ ফুট উঁচু থেকে তিনি নীচে পড়ে যান এবং গুরুতর আহত হন। তারপর সেখানে উপস্থিত এএসআই কর্মীরাই অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে রাজ কুমার প্যাটেল জানিয়েছেন।