নয়া দিল্লি: জি-২০ সামিট শুরু হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। জি-২০ সম্মেলনে (G-20 Summit) যোগ দিতে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান-সহ অন্য অতিথিদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ইতিমধ্যে অতিথিদের আপ্যায়নের আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লির (Delhi) একাধিক পাঁচতারা হোটেল বুকিং করা থেকে খাবারের মেনুও স্থির হয়ে গিয়েছে। এমনকি বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য বিশেষ গানের অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আবার কোন রাষ্ট্রপ্রধান কোন হোটেলে থাকবেন, তাও একপ্রকার স্থির হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, জি-২০ সামিটে যোগ দিতে আসা রাষ্ট্রপ্রধান-সহ বিদেশি অতিথিদের থাকার জন্য ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে পাঁচতারা বেশ কয়েকটি হোটেল বুকিং করা হয়েছে। দিল্লি ও গুরগাঁও এলাকার পাঁচতারা হোটেলের প্রায় ৩৫০০টি ঘর বুকিং করা হয়েছে। এছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ দিল্লি এবং সংলগ্ন গুরগাঁও এলাকার ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ হোটলে বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়ণের জন্য প্রায় ১০ হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হোটেলে বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য সঙ্গীতানুষ্ঠান, ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলের কর্তা জানান, ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রিয় গান ও নৃত্যকলার মাধ্যমে তাঁদের অভ্যর্থনা জানানো হবে। সঙ্গীতানুষ্ঠানের ব্যাপারে আরও বিস্তারিতভাবে হোটেলের ম্যানেজার বলেন, “ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পীরা, বিশেষত ঢোল, তবলা, সেতার, সরোজ এবং সানাইয়ের বিশিষ্ট শিল্পীরা তাঁদের সুর-মূর্ছনার মধ্য দিয়ে বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাবেন। এছাড়া হোটেলের লবিতে সর্বক্ষণ হালকা সুরের গানের মিউজিক বাজতে থাকবে।”
অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে বিশেষ ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস। হোটেলের রুমগুলি বিশেষভাবে সাজানোর পাশাপাশি বিদেশি অতিথিদের ভারতীয় পানীয় ও খাবার দিয়ে আপ্যায়ন জানানো হবে। যেমন- ভারতীয় কফি, চা, মিষ্টি, কেক, চকোলেট ছাড়াও বিশেষ মেনুর বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। যার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় খাবারের পাশাপাশি সব ধরনের খাবার থাকবে। ব্রেকফাস্টে মিলেট-ডিশও থাকছে। বিদেশি অতিথিরা যাতে দিল্লিতে এসে এক সুন্দর আতিথেয়তার অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যেতে পারেন, তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্ভবত থাকবেন আইটিসি মৌর্য হোটেলে। তাজ প্যালেসে থাকতে পারেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শাংরি লা’স ইরোসে থাকতে পারেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং জার্মানির অতিথিরা। দ্য ইম্পিরিয়াল হোটেলে থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং ইন্দোনেশিয়ার অতিথিরা। তাজ মহল হোটেলে থাকবেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অতিথিরা। লীলা প্যালেসে থাকবেন সৌদি আরবের অতিথিরা। দ্য ললিত হোটেলে কানাডিয়ান এবং জাপানি অতিথিরা, দ্য ক্লারিজসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং দ্য ওবেরয় হোটেলে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।