নয়া দিল্লি: আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) ফাইল করেছেন। কিন্তু, এখনও রিফান্ড পাননি? এখনও অপেক্ষা করছেন? কিন্তু, ইতিমধ্যে তো রিফান্ড চলে আসার কথা। যদি না এসে থাকে তাহলে কেন আসছে না, আয়কর রিটার্ন দাখিলে কোনও ভুল রয়েছে কিনা সেটা যাচাই করে দেখতে হবে। পুনরায় যাচাই করার সময় কোন-কোন বিষয়ের উপর নজর দেবেন, সেটা জেনে নিন।
বিজ্ঞপ্তি চেক করুন
আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আগে সেটা বেশ কয়েকটি ধাপে যাচাই করতে হয়। তারপর রিটার্ন ফাইল করতে হয়। রিটার্ন ফাইল করে দিয়ে থাকলে সেটা আয়কর ফাইলিং পোর্টালে যে কোনও সময় দেখা যাবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের পরেও রিফান্ড না এলে আয়কর ফাইলিং পোর্টালে গিয়ে ফাইলটি খুঁজে পুরো ফাইলটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
কবে আয়কর দাখিল করেছেন?
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। তার মধ্যে যদি আয়কর রিটার্ন দাখিল করে থাকেন তাহলে সাধারণত কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু, তারপরেও যদি রিফান্ড না পাওয়া যায়, তাহলে ফাইল করায় কোনও ভুল থাকতে পারে। সেই ভুল সংশোধন করতে হবে। কোথায়, কী ভুল হয়েছে, সেটা পুনরায় গোটা আয়কর রিটার্ন ফাইলটি খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে।
কী কী কারণে রিফান্ড আটকে যেতে পারে?
আয়কর রিফান্ড না আসার অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে প্রথম এবং প্রধান কারণ হল, আয়কর ফাইল দাখিলের সময়ে আধার, প্যান নম্বর, ব্যাঙ্ক ও সংস্থার যে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলি মেলে না। অর্থাৎ রিটার্ন দাখিল করার সময় দেওয়া তথ্য 26AS বা AIS ফর্মের সঙ্গে না মিলতে পারে। ফলে আয় সম্পর্কিত তথ্যের পার্থক্য হতে পারে। সেজন্য রিফান্ড আটকে যেতে পারে। তবে এই সমস্যা সমাধানের পথ রয়েছে। তথ্য কেন মিলছে না, সে বিষয়ে আয়কর বিভাগ আপনাকে মেইল বা চিঠি দিয়ে কারণ জিজ্ঞাসা করতে পারে। সেই মেইলের ঠিকমতো জবাব দিতে হবে। তাই আয়কর রিফান্ড না আসা পর্যন্ত আপনাকে নিয়মিত মেইল চেক করতে হবে।
নোটিশের সঠিক জবাব
আয়কর বিভাগের তরফে যদি কোনও প্রশ্ন করে মেইল দেওয়া হয়, তাহলে তার সঠিক জবাব দিতে হবে। জবাব সঠিক হলে এবং আয়কর বিভাগ সন্তোষ প্রকাশ করলে আপনার রিফান্ড প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর আপনি যদি আয়ের ভুল তথ্য দেন বা কর বকেয়া থাকে, তাহলে সেটা দিতে হবে। আপনি অর্থপ্রদান না করা পর্যন্ত আপনার রিফান্ড প্রক্রিয়া শুরু হবে না। এর জন্য আপনি চ্যার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাহায্যও নিতে পারেন।