কলকাতা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু চন্দের বিরুদ্ধে কোন কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পুরোন একটি মামলায় সাক্ষী হিসাবে ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু চন্দ্রকে তলব করেছিল পুলিশ। কিন্তু হাজিরা না দেওয়ায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। তার প্রেক্ষিতে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পিন্টু চন্দ্র। বৃহস্পতিবার তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি গ্রহণ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন, পিন্টুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে তাঁকে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। পুলিশ কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না-করে কী ভাবে সরাসরি কোর্টের কাছে ফেরার ঘোষণার আর্জি জানাতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পিন্টুর আইনজীবীরাও।
প্রসঙ্গত, ঝালদা পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। অভিযোগ, এরপর থেকেই পুলিশ পুরনো মামলায় কংগ্রেস কাউন্সিলরদের তলব করতে শুরু করে। গত পুরসভা নির্বাচনে ঝালদায় তৃণমূলের পাঁচ জন, কংগ্রেসের পাঁচ জন এবং দু’জন নির্দল কাউন্সিলর হন। এরই মধ্যে পুরভোটের পরেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সে সময়ে দু’জন নির্দল কাউন্সিলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।
সম্প্রতি নির্দল কাউন্সিলরা ফের কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তৃণমূল বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে পুরপ্রধানকে চিঠি দেয় কংগ্রেস। আগামী ৭ নভেম্বর ভোটাভুটি। আর তার আগেই কংগ্রেস কাউন্সিলদের তলব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ঝালদা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু চন্দ্রের আইনজীবীরা।