Joshimath: প্রায় ৩ ফুট বসে গিয়েছে যোশীমঠ, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Sep 26, 2023 | 1:50 PM

NGRI Report: হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পর সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে ৮ কেন্দ্রীয় ইনস্টিটিউট। সেই তদন্তের পর ৪৩ পাতার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে NGRI। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১০০ ফুটের বেশি গভীর পর্যন্ত ফাটল প্রসারিত হয়েছে।

Joshimath: প্রায় ৩ ফুট বসে গিয়েছে যোশীমঠ, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
বিপদের মুখে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা যোশীমঠ।
Image Credit source: PTI

Follow Us

যোশীমঠ: বিপদের মুখে দেবভূমি! উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠের অবস্থা ভয়াবহ। প্রায় ৩ ফুট পর্যন্ত বসে গিয়েছে যোশীমঠের (Joshimath) কিছু এলাকা। এছাড়া প্রায় ১.৪ ফুট সরে গিয়েছে। সম্প্রতি হায়দরাবাদের ন্যাশনাল জিয়োফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (NGRI)-এর সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পর সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে ৮ কেন্দ্রীয় ইনস্টিটিউট। সেই তদন্তের পর ৪৩ পাতার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে NGRI। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১০০ ফুটের বেশি গভীর পর্যন্ত ফাটল প্রসারিত হয়েছে। অনুর্বর জমি থেকে কৃষি জমিতে ফাটল ১১৫ ফুটের বেশি গভীর।

NGRI-এর রিপোর্ট মোতাবেক, যোশীমঠের সুনীল,মনোহর বাগ এবং সিংধর এলাকা উলম্বভাবে প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার (১.৪ ফুট) পর্যন্ত বসে গিয়েছে। এনজিআরআই-এর বিজ্ঞানীরা ২,২০০ মিটার উচ্চতায় সবচেয়ে উঁচু সুনীল গ্রাম থেকে মারোয়ারি-জয়পি অঞ্চল, যোশীমঠের ঢাল পর্যন্ত জরিপ করেছেন এবং দেখেছেন যে, ফাটলগুলি জনবসতি এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। আবার যেসব অঞ্চলে ১০০ ফুটের বেশি গভীরে পৌঁছনোর ফাটল পাওয়া গিয়েছে, সেই সব অঞ্চলে কেবল মাটির আচ্ছাদন রয়েছে, শিলার কোনও অন্তর্নিহিত উপস্থিতি নেই বলেও রিপোর্টে উল্লিখিত।

প্রসঙ্গত, একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত যোশীমঠ। বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে হাইকোর্টের নির্দেশে যোশীমঠের ধারণ ক্ষমতা ও বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি জরিপ করে কেন্দ্র পরিচালিত ৮টি জাতীয় সংস্থা। এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা (NDMA), সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্ট ইনস্টিটিউট, (CBRI), জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI), ন্যাশনাল জিওপিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি এবং আইআইটি রুরকি। এই ৮ সংস্থা যৌথভাবে ১৩০ পাতার একটি রিপোর্ট দিয়েছে। যার নাম, ‘পোস্ট ডিজাস্টার নিড অ্যাসেসমেন্ট’ (PDNA)। সেই রিপোর্টেই যোশীমঠের ভয়াবহ পরিস্থিতির ছবি উঠে এসেছে। রিপোর্টে যোশীমঠকে ‘উচ্চ-মাত্রার ভূমিকম্পন প্রবণ’ এলাকা এবং ‘নো নির্মাণ জোন’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

Next Article