কলকাতা: বর্ষার জন্য অপেক্ষা করে থাকি আমরা। কিন্তু প্রাক বর্ষার বৃষ্টি একেবারেই আনন্দময় নয়। বাংলা জুড়ে বিষাদের সুর। একে ইয়াসের ধাক্কা। তার ওপর প্রাক বর্ষার ঝড়বৃষ্টিতে এক দিনেই বাংলায় মৃত্যু হল ২৭ জনের। তাঁদের মধ্যে হুগলিরই ১১ জন, ৯ জন মুর্শিদাবাদের, ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায়, নদিয়া মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
শোকপ্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকারও। আগামী কয়েকদিনও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এই রাজ্যে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে নবান্ন। চাষের জমিতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে কৃষকদের। কাঁচাবাড়ি থেকে পাকাবাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য। কেউবা হয়তো পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। কাছের লোককে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলি। বজ্রপাতে (Lighting Strike) মৃত ব্যক্তিদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধ ও বৃহস্পতিবার মৃতদের বাড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। বুধবার দুপুর ১ টার সময় রঘুনাথগঞ্জে যাবেন তিনি। বেলা আড়াইটে নাগাদ যাবেন বহরমপুরে৷ প্রত্যেকটি পরিবারকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়ছে বর্ষা! কবে থেকে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় চলবে নাগাড়ে বৃষ্টি? মৌসমভবনের সতর্কবার্তায় চিন্তিত প্রশাসন
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন দায়িত্ব পেয়ে আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে সমাজের বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে ওঠাপড়া করতে চাইছেন। মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন।