Arpita Mukherjee: বাকি ৫ লক্ষ, টাকা চাইতেই ঠিকাদারকে ‘হুমকি’ অর্পিতার! কলকাতার অদূরেই রয়েছে এই বাড়ি

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 26, 2022 | 5:37 PM

Arpita Mukherjee: শ্রীকান্তর দাবি, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার অর্পিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তাঁর প্রাপ্য টাকা পাননি। বাড়িতে টাকার পাহাড় থাকলেও কেন অর্পিতা ৫ লক্ষ টাকা মেটাননি সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তিনি।

Arpita Mukherjee: বাকি ৫ লক্ষ, টাকা চাইতেই ঠিকাদারকে ‘হুমকি’ অর্পিতার! কলকাতার অদূরেই রয়েছে এই বাড়ি

Follow Us

জাঙ্গিপাড়া: নগদ টাকা ছাড়াও একেবারে খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে অর্পিতার (Arpita Mukherjee) বহু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ইডি(ED) সূত্রে খবর, বেলঘরিয়ার রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে রয়েছে অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট। রয়েছে একটি বাড়ি। বেলঘরিয়া রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে রয়েছে অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এদিকে এই অর্পিতা ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। ডায়মণ্ড সিটির ফ্ল্য়াটে টাকার পাহাড় থাকলেও বাড়ি তৈরির ঠিকাদারের পাওনা টাকা এখনও মেটাতে পারেননি অর্পিতা। এই খবর সামনে আসতেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে অর্পিতাকে নিয়ে। 

অর্পিতার সূত্র ধরেই ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অন্যদিকে এ মামলায় সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সূত্রের খবর, পার্থ ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতার কলকাতায় একাধিক ফ্ল্যাট থাকলেও জাঙ্গিপাড়া থানার দিলাকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাবাটি গ্রামে বাড়ি তৈরি করছিলেন অর্পিতা। এখানেই অর্পিতার মামার বাড়ি। এখানেই ঠিকাদার শ্রীকান্ত আড়ুর সঙ্গে একটি এক তলা বাড়ি নির্মাণের জন্য ১৫ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল অর্পিতার। এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিলেও বাকি রয়েছে এখনও ৫ লক্ষ টাকা।

ঠিকাদার শ্রীকান্তর দাবি, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার অর্পিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তাঁর প্রাপ্য টাকা পাননি। বাড়িতে টাকার পাহাড় থাকলেও কেন অর্পিতা ৫ লক্ষ টাকা মেটাননি সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তিনি। শ্রীকান্তর অভিযোগ, মাত্র ১ সপ্তাহ আগে টাকা চাইলে পাল্টা তাঁকে হুমকি দেন অর্পিতা। এদিকে ইতিমধ্যেই অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ২২ কোটি টাকা চলে গিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হেফাজতে। অন্যদিকে তাঁর বাকি সম্পত্তির উপরেও কড়া নজর রয়েছে ইডির। এই অবস্থায় আদৌও আর টাকা ফেরত পাওয়া যাবে কিনা তা ভেবেই ঘুম উড়েছে শ্রীকান্তর। 

অন্যদিকে টাকার পাহাড়ে জীবন কাটলেও অর্পিতার বিরুদ্ধে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের মেইনটেন্যান্সের বিল না মেটানোর অভিযোগ উঠেছে। বেলঘরিয়াতে দুটি ফ্ল্যাটের মেইন্টেন্যান্স বাবদ একটিতে ৯ হাজার ৯০০ এবং অন্যটিতে ১১ হাজার ৮০৮ টাকা বাকি জানুয়ারি মাস থেকে বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছে আবাসন কমিটি। একাধিকবার এ বিষয়ে অর্পিতাকে নোটিশ পাঠিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এমচাবস্থায় এবার জাঙ্গিপাড়ার বাড়ির খবর সামনে আসতেই নতুন করে বেড়েছে চাঞ্চল্য। এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার শ্রীকান্ত বলেন, “১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি টাকা দেননি। বারবার বলার পরেও দেননি। তারপর ওনার ভাই কুন্তল চক্রবর্তীকে বলি। উনি বলেন দিদিকে জানাব। এরপরই অর্পিতা মুখার্জী আমাকে ফোন ধমক দেন। বলেন কেন আমার ভাইকে তাগাদা দিয়েছ? টাকার জন্য দ্বিতীয়বার তাগাদা করবে না। এখনও আমি ৫ লক্ষ টাকা পাব। আমার সঙ্গে এক সপ্তাহ আগেই কথা হয়। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এত টাকা সত্ত্বেও উনি এরকম কী করে করতে পারেন। আমি খুবই চিন্তায় আছি।”

Next Article