Mid Day Meal: মিড ডে মিলের খাবার খেতেই অসহ্য পেটে যন্ত্রণা, বমি! হাসপাতালে একাধিক পড়ুয়া! ব্যাপক চাঞ্চল্য আমতায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 15, 2022 | 9:06 PM

Mid Day Meal: পড়ুয়াদের অসুস্থতার খবর পেতেই অসুস্থ পড়ুয়াদের বাড়িতে খবর দেন শিক্ষকরা। তৎক্ষণাৎ তাদের আমতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Mid Day Meal: মিড ডে মিলের খাবার খেতেই অসহ্য পেটে যন্ত্রণা, বমি! হাসপাতালে একাধিক পড়ুয়া! ব্যাপক চাঞ্চল্য আমতায়

Follow Us

আমতা: কোথাও পাওয়া গিয়েছিল কেন্নো, কোথাও পাওয়া গিয়েছিল আধ গলা সাপ। বিগত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যের নানা প্রান্তে খারাপ মিড ডে মিলের খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে। এমতাবস্থায় এবার, মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হল বেশ কিছু পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে আমতার(Amta) বাগুয়া হাইস্কুলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন টিফিনে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) খাওয়ার পরেই শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন অনেক পড়ুয়া। শিক্ষকদের কাছেও যায় সেই খবর। খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা যায় গোটা এলাকায়।  

এদিকে এদিন মিড ডে মিলের খাবার হিসাবে ভাত, ডিম, আলু দিয়ে তরকারি, শাক ভাজা দেওয়া হয়। যা খেতেই পেটে যন্ত্রণার পাশাপাশি বমি শুরু হয়ে যায় বহু পড়ুয়ার। খবর পেতেই অসুস্থ পড়ুয়াদের বাড়িতে খবর দেন শিক্ষকরা। তৎক্ষণাৎ তাদের আমতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১১ জন পড়ুয়াকে মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি এক ছাত্রী বলেন, “স্কুলে মিড ডে মিল খেয়েছিলাম। তারপরেই আমার পেটে ব্যাথা শুরু হয়। বমিও হয়। মাথার যন্ত্রণাও হচ্ছিল। এখন খানিকটা ভাল আছি।”  আর এক ছাত্রী বলেন, “খাবার খেতেই মাথায় খুব লাগছিল, বমিও হচ্ছিল।” 

এ প্রসঙ্গে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীরকুমার পাত্র বলেন, “এদিন খাবারে ডিমটা গোটা না দিয়ে ৫০টা ডিম দিয়ে সকলের জন্য একটা ডিম ঘন্ট তৈরি করেছিল। সেটাই দেওয়া হয়েছিল খাবারে। সঙ্গে ছিল শাক ভাজা। ডালও ছিল। দু-দফায় খাওয়া-দাওয়া চলে। ১টার ব্যাচে যারা খেয়েছিল তারাই বেশি অসুস্থ হয়েছে। ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। যদিও তার মধ্যে ৯ জন ভাল আছে। তবে রান্নার জন্য টিউবয়েলের জল ব্যবহার করি। অ্যাকওয়াগার্ড রয়েছে। তবে সেটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমাদের ধারণা ফুড পয়েজনিং হয়নি। তাহলে সকলেই অসুস্থ হত। প্রথমে দুজন বলে পেটে লাগছে, মাথায় লাগছে। সেই ভয়ই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে। ডাক্তাররাও বলছেন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অনেক পড়ুয়া। তবে আসলে ঠিক কোন কারণে এমনটা হল তা বলা মুশকিল।” 

Next Article