হাওড়া: হাওড়ার বিষমদ কাণ্ডে (Howrah Hooch Case) গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার সালকিয়ায় গজানন বস্তিতে বিষমদ ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে গোটা জেলাতেই। এদিকে পুলিশের(Police) নাকের ডগাতে এ কারবার চলায় শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরব হয়েছিল বিরোধীরা। তারপরই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে হাওড়া সিটি পুলিশ। এবার এই ঘটনায় পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর সহ দুই পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হলেন বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে প্রশাসনিক মহলে।
সূত্রের খবর, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই সরকারিভাবে তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই তিন পুলিশ কর্মীর নাম সামনে আনতে চাইছে না হাওড়া সিটি পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই মালিপাঁচঘড়া থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে গজানন বস্তিতে বিষ মদ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক বাসিন্দা। চিকিৎসা চলাকালীন সময়েই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এরপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র তিন দিনে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে যায় গোটা রাজ্য। হাওড়ায় বড়সড় প্রতিবাদ মিছিলও করে বিজেপি। প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। কী করে পুলিশের নাকের ডগাতে দিনের পর দিন এ ঘটনা ঘটনা ঘটল তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।
এদিকে বিষমদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই প্রতাপ কর্মকার সহ আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রত্যকেই কোনও না কোনওভাবে বিষমদের কারবারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই বিষমদে আবার কাঠ পালিশের স্পিরিট ব্যবহারের কথাও জানা যায়। তদন্তকারীদের অনুমান যা খেয়েই মূলত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তবে এবার এ ঘটনায় একেবারে পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ডে হওয়ার ঘটনায় নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।