Nitin Gadkari: গডকরীই হতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচনের আগেই প্রকাশ্যে সেই গল্প
Nitin Gadkari: মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের দায়িত্ব তাঁর হাতে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেন, সাম্প্রতিককালে দলে গুরুত্ব কমছে গডকরীর।
মহারাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন নিতিন গডকরী। কিছু অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই সম্ভবত সেটা হয়ে ওঠেনি। এটা কোনও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরীকে নিয়ে সম্প্রতি যে ‘বায়োপিক’ তৈরি হয়েছে, তাতেই এমন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ছবির ডিরেক্টরের দাবি, মন্ত্রীকে কোনও অবস্থাতেই ‘সুপারহিরো’ হিসেবে দেখানো হয়নি। তবে এটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, গডকরী যা কাজ করেছেন, তাতে তাঁর লোকসভা নির্বাচনে জিততে কোনও অসুবিধা হবে না। লোকসভা নির্বাচনের আগে গডকরীকে নিয়ে তৈরি হওয়া এই ছবির বিশেষ তাৎপর্য আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে, ‘গডকরী’ নামে ওই মারাঠি ছবি। অক্ষয় দেশমুখ পরিচালিত ওই ছবিতে মন্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা অনুরাগ রঞ্জনকে। ছবি মূলত দেখানো হয়েছে, কীভাবে আরএসএস থেকে শুরুর করে লোকসভার সদস্য হলেন মহারাষ্ট্রের নাগপুরের সাংসদ। শুধু নির্বাচনে জয় নয়, রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার গল্পও বলা হয়েছে ওই ছবিতে।
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের দায়িত্ব তাঁর হাতে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেন, সাম্প্রতিককালে দলে গুরুত্ব কমছে গডকরীর। ছবিতে দেখানো হয়েছে, ‘হাইওয়ে ম্যান’ নামে ওই মন্ত্রী সড়ক পরিবহনে একাধিক বিপ্লব এনেছেন। শুধু রাজনীতি নয়, গডকরীর খাবারের প্রতি ভালবাসার উল্লেখ রয়েছে বায়োপিকে।
তবে গডকরী যে ভোটের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সে কথাও এই ছবিতে উল্লেখ করতে ভোলেননি পরিচালক। ছবির গডকরীকে সংলাপে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ইলেকশন তো ম্যায় জিত হি যায়ুঙ্গা।’ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন গডকরী। নাগপুর আসন থেকে ২.৮৪ লক্ষ ভোটে জয়ী হন তিনি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ওই আসনে ২০১৯ সালেও প্রায় একই মার্জিনে জয়ী হয়েছিলেন গডকরী। উল্লেখ্য, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে নিতিন গডকরীর বাড়িতে একবার তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর।