কলকাতা : আবেগপ্রবণ সব্যসাচী। টিভি৯ বাংলায় সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে গলা বুজে এল তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তের। ফেললেন দু-ফোঁটা চোখের জলও। হঠাৎ কেন কেঁদে ফেললেন তিনি! বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম টিভি৯ বাংলায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার দিলেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি যে ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছেন তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু বিজেপিতে গিয়েও যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি নরম ছিলেন তা অনেকেই জানেন না। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তখন তিনি পদ্ম শিবিরে। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, প্রচারে বেরিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে সাধারণ মানুষের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা ঢুকে গিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারের সময় একটি সময়ের কথা শেয়ার করেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সব্যসাচী দত্তের স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর খুব সঙ্কটজনক পরিস্থিতি হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সব্যসাচী জানিয়েছেন যে দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল এয়্য়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। যাতে তিনি স্ত্রীকে দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারেন। দিল্লি থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা নিজে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। কৈলাস বিজয়বর্গী হাসপাতালে এসেছিলেন দেখতে। কিন্তু রাজ্য বিজেপির নামে অভিযোগের সুর সব্য়সাচীর গলায়। কিন্তু যেখানে রাজ্য বিজেপির কেউ একটা ফোন করেও খোঁজ নেয়নি সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলতে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সব্যসাচী। পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মুখে নেন। তিনি বলেছেন, “আশ্চর্যজনকভাবে, আমি ভাবতে পারিনি। তখন আমার স্ত্রী আইসিসিইউতে ছিলেন। তিনি বাঁচবেন না মরবেন জানি না। সেইসময় হঠাৎ একদিন সকালবেলা একটা ফোন। ‘আমি দিদি বলছি’।” এক সেকেণ্ডের জন্য তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো বকেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলছেন, “আমাকে বলছেন, ‘তুই কী বড় নেতা হয়ে গিয়েছিস, দিল্লির নেতাদের চিনে গিয়েছিস। আমি কি মরে গিয়েছি? তুই কী ভাবিস নিজেকে? তুই কী পার্টি করছিস আমার জানার দরকার নেই। তোর বউ এইভাবে অসুস্থ। একটা খবর দিতে পারিস না?'” এই কথা বলেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান সব্যসাচী দত্ত। কেঁদেও ফেলেন সাক্ষাৎকার চলাকালীন।
আরও পড়ুন : Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : মেয়র না হয়ে চেয়ারম্যান হওয়ায় কি আদৌ খুশি সব্যসাচী! ডিমোশন না প্রমোশন!
কলকাতা : আবেগপ্রবণ সব্যসাচী। টিভি৯ বাংলায় সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে গলা বুজে এল তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তের। ফেললেন দু-ফোঁটা চোখের জলও। হঠাৎ কেন কেঁদে ফেললেন তিনি! বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম টিভি৯ বাংলায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার দিলেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি যে ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছেন তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু বিজেপিতে গিয়েও যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি নরম ছিলেন তা অনেকেই জানেন না। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তখন তিনি পদ্ম শিবিরে। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, প্রচারে বেরিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে সাধারণ মানুষের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা ঢুকে গিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারের সময় একটি সময়ের কথা শেয়ার করেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সব্যসাচী দত্তের স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর খুব সঙ্কটজনক পরিস্থিতি হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সব্যসাচী জানিয়েছেন যে দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল এয়্য়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। যাতে তিনি স্ত্রীকে দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারেন। দিল্লি থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা নিজে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। কৈলাস বিজয়বর্গী হাসপাতালে এসেছিলেন দেখতে। কিন্তু রাজ্য বিজেপির নামে অভিযোগের সুর সব্য়সাচীর গলায়। কিন্তু যেখানে রাজ্য বিজেপির কেউ একটা ফোন করেও খোঁজ নেয়নি সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলতে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সব্যসাচী। পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মুখে নেন। তিনি বলেছেন, “আশ্চর্যজনকভাবে, আমি ভাবতে পারিনি। তখন আমার স্ত্রী আইসিসিইউতে ছিলেন। তিনি বাঁচবেন না মরবেন জানি না। সেইসময় হঠাৎ একদিন সকালবেলা একটা ফোন। ‘আমি দিদি বলছি’।” এক সেকেণ্ডের জন্য তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো বকেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলছেন, “আমাকে বলছেন, ‘তুই কী বড় নেতা হয়ে গিয়েছিস, দিল্লির নেতাদের চিনে গিয়েছিস। আমি কি মরে গিয়েছি? তুই কী ভাবিস নিজেকে? তুই কী পার্টি করছিস আমার জানার দরকার নেই। তোর বউ এইভাবে অসুস্থ। একটা খবর দিতে পারিস না?'” এই কথা বলেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান সব্যসাচী দত্ত। কেঁদেও ফেলেন সাক্ষাৎকার চলাকালীন।
আরও পড়ুন : Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : মেয়র না হয়ে চেয়ারম্যান হওয়ায় কি আদৌ খুশি সব্যসাচী! ডিমোশন না প্রমোশন!