ক্যানিং: সাম্প্রতিককালে ক্যানিংয়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা রাজ্য-রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বও (Trinamool BJP Clash) তার জেরে নতুন মাত্রা পায়। একইসঙ্গে ক্যানিংয়ের (Canning) বিধায়ক সওকত মোল্লাকেও কয়লা পাচারকাণ্ডে তলব করে সিবিআই (CBI)। এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই এদিনের মিছিল থেকে বড় বার্তা দিতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে এদিন শুভেন্দুর পাশাপাশি সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। এদিন ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড় থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এদিন বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ গণতন্ত্র বাঁচাও মিছিলের পথচলা শুরু হয়। হাসপাতাল মোড় থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ চলার পর শেষ হবে মিছিল। সেখানে শুভেন্দু, প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষের জনসভা করার কথা রয়েছে।
একইসঙ্গে পদ্ম শিবিরের দাবি এই সওকত মোল্লার নেতৃত্বেই শেষ বিধানসভা ভোটের পর ক্যানিং সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক অশান্তি চালায় ঘাসফুল শিবির। সওকতের কারণেই বহু মানুষকে ঘরছাড়া করা হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক বিজেপি কর্মী আজও বাড়ির বাইরে রয়েছে। তাঁরা ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারেননি। এদিন বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার তরফ থেকে এদিনের মিছিলের আয়োজন করা হয়। তবে এদিনের মিছিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছেন বহু মানুষ, এমনটাই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। একইসঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে যে সমস্ত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদেরও অনেকে পথে নেমেছেন বলে দাবি পদ্ম নেতাদের। যাঁরা ঘরছাড়া ছিলেন তাঁদের অনেকে বর্তমানে ঘরে ফিরে এসেছেন, আসার পরেই তারা মিছিলে পা মিলিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে হোক বা ভোটের পরে, বোমাবাজি থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারেবারেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যানিং। সেই সমস্ত হিংসাত্মক ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে এদিন মিছিল থেকে লাগাতার তৃণমূলবিরোধী স্লোগানও ওঠে মিছিল থেকে।