Student Harrasment: স্কুলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, চাঞ্চল্য মালদহে

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 21, 2023 | 12:56 PM

Maldah: ওই ছাত্রী যে স্কুলে পড়ে সেটি জুনিয়র হাইস্কুল। কেউ বলছেন পড়ুয়া সংখ্যা স্কুলে ৩৭ জনের মতো। কেউ বলছেন ৫০।

Student Harrasment: স্কুলে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, চাঞ্চল্য মালদহে
প্রতীকী ছবি

Follow Us

মালদহ: ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই নৃশংসভাবে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের গাজোলে। অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে পাশবিক অত্যাচারের পর তা মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো করে রাখে অভিযুক্ত তিন যুবক। তিন জনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন যুবক একই গ্রামের বাসিন্দা। তবে তারা বহিরাগত। শনিবারের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এমন ঘটনার কথা শুনে শিউরে উঠছেন সকলে। মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, যে স্কুলে ওই ছাত্রী পড়াশোনা করে, সেখানে কোনও পাঁচিল নেই। শনিবার স্কুলের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময় বহিরাগত তিন যুবক স্কুলে ঢুকে পড়ে। ভুলিয়ে ভালিয়ে দোতলারই একটি ঘরে নিয়ে যায়। এরপরই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গী অপর ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে যায়। দৌড়ে খবর দেয় নাবালিকার বাড়িতে। পরিবারের লোকজন স্কুলে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী যে স্কুলে পড়ে সেটি জুনিয়র হাইস্কুল। কেউ বলছেন পড়ুয়া সংখ্যা স্কুলে ৩৭ জনের মতো। কেউ বলছেন ৫০। অথচ সেই স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক। যদিও তাঁর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এই স্কুলের পাশে রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন স্কুলে আসেননি শিক্ষক। পাশের প্রাথমিক স্কুলে জানিয়েছিলেন, মিড ডে মিলের বিষয়টি দেখে নিতে।

ওই ছাত্রীর মায়ের কথায়, “স্কুলে গিয়ে দেখি মেয়ে কাঁদছে। তারপর জানতে চাইলাম কী হয়েছে, কিছু বলছিল না। পাশের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে বললাম। তখন উনি বললেন সোমবার দেখছি। আমি তিনজনের নামে অভিযোগ করেছি। বাইরের ছেলে ওরা। স্কুলে ঢুকে এরকম করেছে। যেদিন এই ঘটনা মাস্টার সেদিন স্কুলেই আসেননি। গিয়ে দেখি মেয়ে বারান্দায় বসে কাঁদছে।”

এ বিষয়ে সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, “আমার মনে হয় সারা বাংলায় এক শিক্ষকের স্কুল অন্তত সাড়ে ৩ হাজার। যদি এরকম স্কুল থাকে, যিনি পড়াচ্ছেন তিনিও তো একজন মানুষ। তারও তো সমস্যা হতে পারে। নানা কারণে তাঁর অনুপস্থিতির প্রয়োজন হতে পারে। সে কারণে তিনি পাশের স্কুলের মিড ডে মিলের জন্য বলে গিয়েছেন। এখানেই আমার প্রশ্ন। তিনি যদি মিড ডে মিলের ব্যবস্থা না করেন, তাঁকে শোকজ করা হবে। গোটা বিষয়টাই একটা অরক্ষিত জায়গায়।” তবে স্কুল চলাকালীন স্কুলের ভিতর কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তাজ্জব সকলে। স্কুলেও যদি ছাত্রীর নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে নিরাপত্তা কোথায়, উঠছে প্রশ্ন।

শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের বক্তব্য, “খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমি শুনেছি প্রশাসন থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। আমরা ইতিমধ্যেই পুলিশসুপারকে চিঠি দিয়েছি। আমরা যতদূর পারি ওই ছাত্রীকে সহযোগিতা করব। আর আমরা শিক্ষা দফতরকেও বলছি এটা দেখা উচিত।”

Next Article