ভারত ৩০৮-৭ (৫০ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০৫-৬ (৫০ ওভার)
পোর্ট অব স্পেন : বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ (West Indies) একটা ম্যাচেও ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি। ভারতের (Team India) বিরুদ্ধে লড়াই করল, শেষ পর্যন্ত। শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বাধীন (Shikhar Dhawan) ভারত জিতল মাত্র ৩ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজে ভারত এগিয়ে ১-০ ব্যবধানে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই কুর্নিশ জানানোর মতোই। বাকি দুই ম্যাচ আরও রোমাঞ্চকর হবে এমন প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। শেষ তিন ওভারে ৩৮ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এই মাঠে সর্বাধিক ২৭২ রান তাড়া করে জয়ের নজির ছিল। অল্পের জন্য ৩০৯ রান তাড়া করে জেতার নজির আটকাল ভারত।
টসে জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আশঙ্কা ছিল বৃষ্টির। ম্যাচের আগের দু’দিন ঠিকঠাক অনুশীলনই করতে পারেনি কোনও দল। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হলেও শেষটা তেমন হল না। ওপেনিং জুটিতে ১১৯ রান। সেখান থেকে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করে ভারত। অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান এবং শুভমন গিল ওপেনিংয়ে মজবুত ভিত গড়লেন। শ্রেয়স আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, দীপক হুডা, সঞ্জু স্যামসন, শার্দূল ঠাকুর। ভারতের যা ব্যাটিং লাইন আপ, অন্তত ৩৫০ পেরোনো উচিত ছিল। অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের ৯৭ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য রান শুভমন গিল (৬৪) এবং শ্রেয়স আইয়ারের (৫৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংকে যতটা দুর্বল মনে হয়েছিল, ম্যাচে পুরো ধারনাই বদলে দিয়েছে তারা। বিশেষত দ্বিতীয় উইকেটে শেমার ব্রুকস-কাইল মেয়ার্সের ১১৪ বলে ১১৭ রানের জুটি। শার্দূল ঠাকুর পরপর ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরান। লক্ষ্য বড় হলেও শেষ বলে ফয়সালা। সপ্তম উইকেটে আকিল হোসেনকে নিয়ে ৩৩ বলে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি রোমারিও শেপার্ডের। শেষ বলে ৫ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। স্ট্রাইকে রোমারিও শেপার্ড। স্নায়ুর চাপ সামলে ভারতকে জেতালেন মহম্মদ সিরাজ। তবে মাঠ নিয়ে কিছুটা অভিযোগ থাকতেই পারে। অক্ষর প্যাটেল, শার্দূল ঠাকুর চোট পেলেন মাঠের কারণেই। যদিও চোট কতটা গুরুতর সেটা আন্দাজ করা যায়নি। এমনিতেই হাঁটুর চোটে দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলতে পারবেন না রবীন্দ্র জাডেজা। এই দু’জনের চোট গুরুতর হলে, চাপ বাড়বে ভারতীয় শিবিরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ভারত ৩০৮-৭ (শিখর ধাওয়ান ৯৭, শুভমন গিল ৬৪, শ্রেয়স আইয়ার ৫৪, গুডাকেশ মোতি ২-৫৪)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০৫-৬ (কাইল মেয়ার্স ৭৫, ব্র্যান্ডন কিং ৫৪, মহম্মদ সিরাজ ২-৫৬, যুজবেন্দ্র চাহাল ২-৫৮)
ম্যাচের সেরা: শিখর ধাওয়ান