বাজারে নানা ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু, সিরাম, তেলের ছড়াছড়ি। আপনিও পছন্দমতো প্রসাধনী বেছে নেন। কিন্তু চুলের সমস্যা পিছু ছাড়ে না। কখনও চুল রুক্ষ দেখায়। আবার কখনও জাঁকিয়ে বসে খুশকি। আর চুল পড়ার সমস্যা সারা বছর লেগে রয়েছে। পাঁচ ধরনের হেয়ার কেয়ার পণ্য না ব্যবহার করে শুধু নারকেল তেলের উপর ভরসা রাখুন। নিয়মিত চুলে নারকেল তেল মাখলে চুলের হাজারো সমস্যা দূর করা যায়।
নারকেল তেলের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড, লরিক অ্যাসিড রয়েছে, যা চুল ও স্ক্যাল্পের জন্য উপকারী। কিন্তু রোজ নিয়ম করে মাথায় তেল মাখা হয় না। তবে, সপ্তাহে একদিন নারকেল তেলের তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটাও আপনার চুলকে পুষ্টি জোগাবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখবে।
নারকেল তেল ও মধুর হেয়ার মাস্ক- চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং চুলের জেল্লা বাড়াতে মধু ভীষণ উপকারী। ১ টেবিল চামচ উষ্ণ নারকেল তেল এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ভাল করে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। এই আপনার চুলকে আরও নরম ও কোমল করে তুলবে।
নারকেল তেল এবং লেবুর মাস্ক- তৈলাক্ত স্ক্যাল্প ও খুশকির সমস্যা দূর করতে নারকেল তেল ও লেবুর হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। লেবুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান স্ক্যাল্প থেকে ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিয়ে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিন। এই হেয়ার মাস্ক চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
নারকেল তেল ও কলার মাস্ক- চুলকে প্রাকৃতিক উপায়ে কন্ডিশনিং করার জন্য নারকেল তেল ও কলার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। ১টা পাকা কলা চটকে মেখে নিন। এতে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেটা চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। মিনিট কুড়ি রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এটি চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দূর করবে।