মাংস কষা হোক বা মাছ-আলু দিয়ে তরকারি। সেখানে টমেটো থাকবেই। আর কিছু না হোক, স্যালাদ হিসেবেও টমেটো থাকে খাবার পাতে। টমেটো খাবারে স্বাদ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি উপকারিতাও প্রদান করে। রোজের রান্নায় টমেটো ব্যবহার হলে শরীরের জন্যই ভাল। মূলত, টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, আপনি যদি এই সবজি নিয়ম করে খান, সর্দি-কাশি, সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
টমেটো খেলে কোলেস্টেরলও একদম নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই সবজি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। হার্টে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। টমেটোর মধ্যে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই-এর মতো উপাদান রয়েছে। এগুলো রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি এই খাবারে লিউটিন এবং জিয়াজ্যানথিন নামের দু’টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। টমেটো খেলে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে। কিন্তু টমেটো খাওয়ার সঠিক উপায় জানেন কি?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তরকারি বা ঝাল-ঝোল বানাতেই টমেটোর দরকার পড়ে। এভাবে নিয়ম করে টমেটো খেলেও উপকার পাবেন। এছাড়াও আর কোন-কোন উপায়ে টমেটো খাবেন, রইল টিপস।
টমেটোর স্যালাদ: পেঁয়াজ, শসার সঙ্গে টমেটোকে স্যালাদ রাখেন অনেকে। কিন্তু যাঁরা স্যালাদ খেয়ে ওজন কমান, আরেকটু অন্য উপায়ে টমেটোকে খেতে পারেন। পেঁয়াজ, শসার পাশাপাশি চেরি টমেটো দিন স্যালাদে। নুন-গোলমরিচের গুঁড়োর সঙ্গে ফেটা চিজ ছড়িয়ে দিন। আর দিন একটু অলিভ অয়েল ও লেবুর রস। এতে স্যালাদের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়বে।
টমেটোর ওমলেট: ডিম ভাজার সময় টমেটো ব্যবহার করুন। টমেটো ছোট ছোট করে কেটে নিন। ডিম ভাজার সময় টমেটো ছড়িয়ে দিন। সঙ্গে স্পিং অনিয়ন, মাশরুম, চিজ ছড়িয়ে দিন। এতে ওমলেট রসালো ও সুস্বাদু হবে।
টমেটো জুস: টমেটোর উপকারিতা পেতে জুস বানিয়ে খান। টমেটো জুস বানানোর সময় এতে নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো মেশাতে ভুলবেন না। এতে টমেটোর রস অনেক বেশি সুস্বাদু হবে। টমেটোর রস খেলে শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং শরীরে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
টমেটো স্যুপ: টমেটো খাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হল স্যুপ। ডিনারে টমেটোর স্যুপ বানাতে পারেন। টমেটোর স্যুপ বানানোর সময় চিকেনের স্টক ব্যবহার করুন। অল্প মাখন, নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে খান টমেটোর স্যুপ। সর্দি-কাশি হলে কিংবা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এভাবে টমেটো খেতে পারেন।