বাঙালি মেয়ে মানেই চোখে কাজল, ছোট্ট টিপ, একটা শাড়ি আর একগাল হাসি। যদিও ভারতের জাতীয় পোশাক হিসেবে শাড়িকেই মান্যতা দেওয়া হয়। যেকোনও উৎসবে শাড়ি পরলে খুব সুন্দর মানাবে আপনাকে। শাড়ি সবসময়ই ফ্যাশনে ট্রেন্ডিং।
লকডাউনে সাধারণত কমফোর্টেবল পাজামা, কাম্ফিতেই কাটছে। ফ্যাশনের চেয়েও অনেক বেশি ভাবছি আমরা আরামের কথা। তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে সাজালে মন্দ লাগেনা কিন্তু। অনলাইন মিটিং বা বন্ধুদের হ্যাঙ্গআউট কলে শাড়ি পরে চমকে দিন সবাইকে একদিন। এইবার শাড়ি পরার বেশ কয়েকটি অনবদ্য ধরণ আছে। শুধু একটা শাড়িকেই ৫ রকমভাবে পরে ৫টা স্টাইল করতে পারেন আপনি।
১) ইনফিনিটি ড্রেপ:
শাড়ি পরার ক্লাসিক্যাল ধরণ এটি। মায়েদের এভাবেই শাড়ি পরতে দেখে অভ্যস্ত আমরা ছোট থেকেই। এই শাড়ি পরার ধরণে কুচির ফলে যেভাবে ফুলে থাকে শাড়িটি, তাতে বেশ জমকালো লাগে দেখতে।
আরও পড়ুন: এই প্রথম প্যারিসের বিখ্যাত ফ্যাশন উইকে ডাক পেলেন এক ভারতীয় মহিলা ডিজাইনার! কে তিনি?
২) বেল্টেড বেলে:
সাধারণ বাঙালি ধরণে শাড়ির সঙ্গে জুড়ে নিন একটা বেল্ট। ব্লাউজের বদলে শার্ট বা টপ পরলেও খারাপ দেখাবে না এরসঙ্গে। একটা বেল্ট একেবারেই এনে দেয় অনেকটা স্মার্টনেস। শাড়িটাও বেশ ফিট থাকে।
৩) রেট্রো ব়্যাপ:
শাড়ি পড়ার সময় আটপৌড়ে করে শাড়ি পরে নিন। বাঙালি মেয়েদের এভাবে বেশ স্নিগ্ধ লাগে। এছাড়া ক্লাসিক্যাল রেট্রো লুক আনতে গেলে কোনও শিফন বা মলমল শাড়ির আঁচলটা শুধু গলায় পেঁচিয়ে নিন। একেবারেই ৮০-র দশকে ফিরে এসেছেন মনে হবে।
৪) ড্রামাটিক ধোতি:
সাবেকিয়ানার সঙ্গে মর্ডার্ণ লুক চান? বেশ তবে শাড়িখানা ধুতির মতো পরে ফেলুন, আর আঁচলটা সামনে ফেলে দিন শুধু। এই লুকে ব্লাউজের থেকেও বেশি স্মার্ট লাগবে একটা ট্যঙ্গো টপ পরলে।
৫) ক্লাসিক ট্যুইস্ট:
সবশেষে আসি ট্যুইস্টে। ক্লাসিক্যাল শাড়িকেই যদি একদম মায়েদের মতো করে না পরে একটা মর্ডার্ণ লুক দেওয়া যায়.. হ্যাঁ, শাড়ির আঁচলটা প্লিট করে নিন সরু করে। কোমরের কাছে একটু নিচু করে শুরু করে কাঁধের উপর ফেলে দিন প্লিট করা আঁচলটা। দেখতে অনেকটা স্মার্ট লাগবে, ক্যারি করাও সহজ।