কথাতেই আছে ভেতো বাঙালি। সারাদিনে একবারও যদি পেটে ভাত না যায় মনে হয় যেন কিছুই খাওয়া হল না। বাঙালিদের রোজনামচায় ভাত ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যাই হোক না কেন তবুও আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ভাত পরের দিন খেতে হলে মুখটা বেশ ভার হয়। তাই আপনাদের জন্য রইল বাসি ভাত দিয়ে তৈরি করা যায় এমন পাঁচটি সুস্বাদু পদের রেসিপি।
ভাত ভাজা
আগের দিনের ভাতকে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উপাদেও। ফ্রিজে থাকা সবজিকে অল্প তেলে ভেজে নিয়ে, মিশিয়ে দিন ভাতের সঙ্গে। এরপর অল্প মাখন দিয়ে টস করে নিন। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে ‘ভাজা ভাত’। সস কিংবা চাটনি দিয়ে অথবা শুধুও খেতে পারেন।
চালের ছিল্লা
ভাত দিয়ে তৈরি প্যানকেকই হল চালের ছিল্লা। সকালের খাবার হিসাবে এই প্যানকেক বেশ মুখরোচক। মূলত মুগডাল, বেসন, সুজি দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু ছিল্লা। তবে ভাত ভাল করে স্ম্যাশ করে (চটকে নিয়ে) মশলা মিশিয়েও বানানো যায় মুচমুচে চালের ছিল্লা।
রাইস পপস
চিকেন পপস, ভেজ পপস হয়। কিন্তু কখনও রাইস পপস শুনেছেন? সন্ধের আড্ডায় চা-এর সঙ্গে পারফেক্ট যুগলবন্দী রাইস পপস।অল্প ভাত নিন। সঙ্গে কিছু মশলা মেশান। ইচ্ছে হলে সবজি আর চিজও মেশাতে পারেন। আর তারপর ডোবা তেলে গোল্ডেন ফ্রাই করলেই রেডি রাইস পপস।
চালের পরোটা
স্কুল-কলেজের টিফিনের জন্য চালের পরোটা নিঃসন্দেহে দারুণ খাবার।বেঁচে যাওয়া ভাতকে স্ম্যাশ করে মশলা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর আটার লেচি করে তারমধ্যে ভাতের পুর ভরে ভাজলেই তৈরি চালের পরোটা।
ভাতের বড়া
লঙ্কা, পিঁয়াজ, ডিম, আলু দিয়ে ভাতকে ভাল করে মাখতে হবে। তাকে বড়ার আকারে গড়ে ভাল ঘি-তে ডিপ ফ্রাই করলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু চালের বড়া। সকালে জলখাবার অথবা সন্ধের চা-এর আড্ডা আরও জমিয়ে তুলবে চালের বড়া।