কোলেস্টেরল হোক বা লিভারের সমস্যা, শাকসবজি যত খাবেন, সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। কিন্তু সবসময় যে শাকসবজি খেলেই সুগার বশে থাকবে, এমন নয়। পটল, ঝিঙে, উচ্চে, করলা, ঢ্যাঁড়শ, ব্রকোলি, শসা, কুমড়োর মতো আনাজপাতি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। এসব সবজিপাতিতে প্রয়োজনীয় ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এগুলো ডায়াবেটিসে সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাই কোনও চিন্তা ছাড়াই খেতে পারেন এসব সবজি। কিন্তু এমন অনেক আনাজ রয়েছে, যার মধ্যে স্টার্চ ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি। এগুলো খেলে সুগার হু-হু করে বাড়বে। তাই কোন সবজি থেকে দূরে থাকবেন, দেখে নিন।
আলু: অনেকের মুখেই শুনেছেন নিশ্চয়ই, ডায়াবেটিসে আলু চলে না। কথাটা কিন্তু ভুল নয়। সকাল-বিকাল আলু খেয়ে থাকলে সুগার হাতের নাগালে বেরিয়ে যেতে পারে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি বা রাঙা আলু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু এই আলু খুব বেশি খেলেই সমস্যা। সপ্তাহে এক-আধ বার খেতে পারেন। এর বেশি হলেই সুগার লেভেল বাড়বে।
কচু: কন্দজাতীয় ফসল ডায়াবেটিসের রোগীদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কচুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ রয়েছে। কচুর তরকারি বা সেদ্ধ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
ওল: কচুর মতো ওলও এড়িয়ে চলুন। ওলের মধ্যেও স্টার্চের পরিমাণে বেশি। ওল দিয়ে ভাত খেলে যে কোনও মুহূর্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
বিটরুট: বিটরুটও কন্দজাতীয় ফসল। তাই এই খাবারও বুঝেশুনে খাওয়া ভাল। তবে, এই আনাজ উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য আদর্শ। আপনি যদি ডায়াবেটিস ও প্রেশার দুটোতেই ভোগেন, তাহলে অল্প পরিমাণে বিট খেতে পারেন।
গাজর: শীতের ফসল হলেও আজকাল সারাবছরই বাজারে গাজর পাওয়া যায়। গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক কম হলেও এই সবজি মাত্রাতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কাঁচকলা: পেট খারাপ না হলে কাঁচকলা খাওয়ার দরকার নেই। কাঁচকলায় প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ রয়েছে। দিনের পর দিন এই আনাজ খেলে সুগার বেড়ে চড়চড়িয়ে বেড়ে যাবে।