যাঁদের ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ, অর্থাৎ ড্রাই স্কিনের সমস্যা রয়েছে, গরমকালে তাঁদের অসুবিধা দ্বিগুণ হয়ে যায়। একে তো রুক্ষ, শুষ্ক আবহাওয়া, সেই সঙ্গে ত্বকের রুক্ষ ভাব, জেল্লাভাব একেবারেই দূর হয়ে যায় ত্বক থেকে। সেই সঙ্গে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরণের অ্যালার্জি, চুলকানি, স্কিনে র্যাশ বা লাল হয়ে যাওয়া, কালচে ছোপ পড়ে যাওয়া— এইসব সমস্যা দেখা দেয়।
এইসময় ত্বক আর্দ্র রাখা এবং ঠাণ্ডা কোনও উপকরণ দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করা প্রয়োজন। ত্বক আর্দ্র রাখতে গেলে, অর্থাৎ স্কিন হাইড্রেশনের অন্যতম উপায় হল সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া। আর যদি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বক আর্দ্র এবং ঠাণ্ডা রাখতে চান, তাহলে অতি অবশ্যই ব্যবহার করুন শসা, তরমুজ, টকদই।
কীভাবে এই তিনটি উপকরণের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নেবেন?
শসা- ড্রাই স্কিনের সমস্যায় যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের ক্ষেত্রে শসা অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। ত্বকের যেকোনও চুলকানি, র্যাশ, অ্যালার্জি, জ্বালাভাব, কালচে দাগছোপ বা লাল হয়ে যাওয়া দূর করে শসার রস। এক্ষেত্রে আপনি একটা শসা বা অর্ধেক শসা ভাল করে গ্রেড করে নিন। তার মধ্যে মিশিয়ে নিন সামান্য চিনি বা অল্প মধু। এবার এই প্যাক ঘণ্টা খানেক ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর সারা মুখে এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। দেখবেন ত্বকের রুক্ষ-শুষ্ক ভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে।
তরমুজ- গরমকালে তরমুজ খেলে যেমন শরীর ঠাণ্ডা থাকে, ঠিক তেমনই তরমুজের সাহায্যের রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যাও সম্ভব। এক্ষেত্রে তরমুজের রসের সঙ্গে আপনি শসার রস, কাঁচা দুধ আর সামান্য টকদই মিশিয়ে একটা ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। তারপর ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর সারা মুখে লাগিয়ে দিন এই প্যাক। অন্তত ১৫ মিনিট রাখার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন এই প্যাক লাগালে উপকার পাবেন। কাঁচা দুধের বদলে আপনি দুধের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন- গরমকালে চোখের চারপাশে জ্বালাভাব, এই সমস্যার সমাধানে মেনে চলুন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা
টকদই- ট্যান তোলার পাশাপাশি, ত্বকের রুক্ষতা দূর করতেও অসামান্য কাজ করে টকদই। এই টকদইয়ের সঙ্গে সামান্য গোলাপজল আর মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন। ঠাণ্ডা টকদই ব্যবহার করলে প্যাক আর ফ্রিজে ঢুকিয়ে ঠাণ্ডা করার প্রয়োজন নেই। এই প্যাক স্নানের আগে সারা মুখে মেখে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষ-শুষ্ক ভাবে দূর হয়ে স্কিন হবে মোলায়েম এবং উজ্জ্বল।