গরমকাল এলেই ব্রণর সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। মূলত দেহে জলের অভাব, ঘাম, দূষণ আর তৈলাক্ত ত্বকের জেরে এই মরশুমে ব্রণর সমস্যা বাড়ে। এছাড়া বয়স, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শারীরিক অবস্থা সবই নির্ভর করছে। কিন্তু কোনওভাবেই হাওয়া উড়িয়ে দেওয়া যায় না আপনার খাদ্যাভ্যাস। সুন্দর ত্বক গঠনের পিছনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ডায়েট। দেহে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে ত্বকে ব্রণ হওয়াটা স্বাভাবিক। আবার যদি তেল-মশলাদার খাবার বেশি খান, তখনও বাড়ে ব্রণ। যে কারণে হাজার নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও ব্রণকে তাড়াতে পারেন না। এই গরমে ব্রণর হাত থেকে মুক্তি দেবে কী-কী খাবেন, দেখে নিন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি থাকলে ত্বকের প্রদাহ বাড়ে। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। গরমে দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করতে পেয়ারা, লেবুর রস খেতে পারেন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: রোজ সকালের জলখাবারে ৩০ গ্রাম ফাইবার থাকলে ব্রণর সমস্যা কমবে। আপেল, বিনস, গাজর, ওটস, কিনোয়া, ডালিয়ার মতো খাবারে সহজেই ফাইবার পেয়ে যাবেন।
কাবুলিচানার স্যালাদ: সাধারণত কাবুলিচানা খাওয়া হয় দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে। কিন্তু এই খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম এবং দেহের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য রক্ষা করে। ত্বকের সিবাম উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এটি। কাবুলিচানা সেদ্ধ করে শসা, পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে স্যালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন, ভিটামিন এ, সি ও কে রয়েছে, যা ব্রণর হাত থেকে মুক্তি দেবে।
কুমড়োর দানা: বিকালের স্ন্যাকসে রাখতে পারেন কুমড়োর দানাকে। এই খাবারের মধ্যে নিয়াসিন, বিটা-ক্যারোটিন, রিবোফ্ল্যাভিন, বি৬ ও ফলেত রয়েছে যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ব্রণর হাত থেকে মুক্তি দেবে। এছাড়াও কুমড়োর দানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিঙ্ক ও ফাইবারে পরিপূর্ণ।
টক দই: টক দই ত্বকে মাখলে যেমন একাধিক সমস্যা থেকে রেহাই মেলে, তেমনই খেলেও ব্রণর সমস্যা কমে। টক দই ব্রণর প্রদাহ কমাতে সহায়ক। টক দইয়ের পাশাপাশি আপনি প্ল্যান্ট-বেসড মিল্ক অর্থাৎ আমন্ড মিল্ক বা সোয়া মিল্ক, তোফু ইত্যাদি খেতে পারেন।
জল ছাড়া গতি নেই: এই গরমে শরীর ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হলে জলই খেতে হবে। জল ত্বককে টক্সিন ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। এই গরমে যত বেশি জল খাবেন, ব্রণর হাত থেকে মুক্তি মিলবে।