পুরনো যা কিছু তাই যেন আবার ঘুরে ফিরে আসছে ফ্যাশনে। এটাই এখন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুঁচি দেওয়া শাড়ি-ব্লাউজ, ঘটি হাতা অর্থাৎ পাফ স্লিভস, ওভার সাইজড টপ, ঢিলেঢোলা প্যান্ট অর্ছাৎ বয়ফ্রেন্ড জিন্স, লুজ ফিটিং ব্লাউজ, টপ এসব বেশ চলছে। শাড়ির সঙ্গে সিঁদুরের টিপও ইদানিং ফিরে এসেছে ফ্যাশনে। আজ থেকে কয়েক যুগ আগে মেয়েকে বিয়েতে গয়নায় মুড়ে দিতেন। এখন আর সেই দিন নেই। কারণ গয়নার দাম আকাশছোঁয়া। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। হাতে চালদানা, পলাকাটি, মাদুলি, তাবিজ, চন্দ্রহার, চাবি, গোট, শিকলি পানহার, ২৮ ভরির চন্দ্রহার, কানবালা, কালফুল, ঝুমকো, কানপাশা, নথ- এসব গয়নার নাম এখ খুব মানুষই জানেন। শোনাযায় কানবালা, কানপাশা এসব গয়না মুঘলদের থেকে বাঙালিরা পেয়েছে। তবে সোনার নূপুর একমাত্র রাজপরিবারের মেয়েরাই পরার অধিকার পেতেন।
মুসলিমরা বাংলায় আসার আগে মেয়েদের মাথার গয়না বলে কিছু ছিল না। মানে টায়রা আর টিকলি কী জিনিস, তা তাঁদের অজানাই ছিল। তবে মাথায় ফুল আর ফুলের মালার ব্যবহার ছিল, আজও আছে। সিঁথিতেও অনেকে ফুল পরতেন। আজকাল অনেকেই বিয়েতে সীতাপট্টি পরেন। এই সীতাপট্টিও কিন্তু মুঘল আমলেই মেয়েরা শিখেছে। তখন রুপোর গয়নার এত চল ছিল না সবই হত সোনার। সোনা ছাড়া অন্য কিছু যেন ভাবাই যায় না। ইদানিং কালে মানতাসা আর রতনচূড়ের চল বেড়েছে। সোনা দিয়ে অনেকে যেমন বানান তেমনই রুপো, অক্সিডাইজ বা কনটেম্পোরারি জুয়েলারিও বেশ চলছে। ইদানিং কালে বিয়ের কনেরাও মিলিয়ে মিশিয়ে সব রকম গয়না পরছেন। সোনার গয়নার সঙ্গে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে গোল্ড ফিনিশের অন্য গয়নাও থাকছে। আর সেই গয়নার মধ্যে অ্যান্টিকের চলই সবচাইতে বেশি। এই এয়ার ব্রাশ, এইচ ডি মেকআপের জামানাতেও অনেক কনেই এখন একদম সাদামাটা সাজতে চাইছেন।
কারণ সাদামাটা সাজ হলেই যে দেখতে ভাল লাগে, ছবি ভাল আসে এই সত্যিটা অনেকেই বুঝে গিয়েছেন। সাদামাটা সাজ বলতে ম্যাট ফিনিশ লুক। নো মেকআপ লুক এখন ভীষণ ট্রেন্ডিং। এছাড়াও অনেক কনেই এখন বিয়েতে কাজল বা লাইনার পরছেন না, একেবারে ন্যুড আইমেকআপ থাকছে। শাড়ি, গয়নার মধ্যে থাকছে আগের সেই ট্র্যাডিশন্যাল টাচ। বসন্তে বিয়েবাড়ি যেমন থাকে তেমনই পার্টি, বসন্ত উৎসব এসবও লেগে থাকে। এমন দিনে ইউনিক সাজ হোক আপনার, পরনে থাক অ্যান্টিক গয়না। প্রয়োজন পড়বে না ফাউন্ডেশনেরও।