তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী। বঙ্গে ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে। শীতকাল এলেই একটি কাজ করার কথা শুনলেই গায়ে জ্বর আসে অনেকের। তা হল স্নান করা। শীত পড়লে রোজ স্নান করা থেকে বিরত থাকেন অনেকেই। গায়ে জল ঢালতে যেন এই সময় কিছুতেই ইচ্ছে করে না। সেই নিয়ে রোজ বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে অশান্তিও যেন লেগেই আছে।
অনেকেই এমন আছেন যাঁরা শীতকালেও প্রতিদিন নিয়ম করে স্নান করেন। ঠান্ডা যতই পড়ুক না কেন, এমনকি তাপমাত্রা যদি হিমাঙ্কের নীচে থাকে তাহলেও স্নান করতেই হবে। কেউ কেউ তো আবার গোটা শীতকাল ঠান্ডা জলে স্নান করতে পছন্দ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, রোজ ঠান্ডা জলে স্নান করা কি ভাল না খারাপ?
বিশেষজ্ঞদের কিন্তু মত শীতকাল হোক বা গরমকাল স্নান রোজ করা উচিত। না হলে অচিরেই বিগড়ে যেতে পারে শরীর। এমনিতে শীত কালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বাড়ে। ত্বকের উপর জমা ধুলোবালি থেকে যেমন ত্বকের ক্ষতি হয়, তেমনই অ্যালার্জির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ভারতের মতো দেশে যেখানে দূষণের পরিমাণ খুব বেশি, সেখানে অবশ্যই রোজ স্নান করা উচিত।
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে হলেও নিয়মিত স্নান করাটা জরুরি। বিশেষ করে বাচ্চা এবং বয়স্কদের প্রতিদিন স্নান করতেই হবে।
তাই বলে যারা প্রতিদিন শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করেন, তাঁরাও যে খুব ভাল কাজ করেন এমনটা নয়। বরং গরম জলেই স্নান করাটা ভাল। না হলে ঠান্ডা লেগে সর্দি, কাশি, জ্বর থেকে সাইনাসের ব্যথা, এমনকি নিউমোনিয়াও হতে পারে। তাই শীতকালে স্নান করার সময় হালকা গরম জল নিয়ে স্নান করুন। ঠান্ডা যতই পড়ুক না কেন, স্নান করতে ভুললে কিছু চলবে না।