Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Korean Skin Care: ত্বকের শুষ্কভাব কাটাতে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলুন, রইল ৫টি জরুরি টিপস

Beauty Care: বিশেষজ্ঞদের মতে, মুক্তোর মত ত্বকের জন্য কোরিয়ানরা ফেস শিট মাস্ক ও চালের জল টোনার হিসেবে ব্যবহার করেন বেশি। অল্প বয়স থেকেই কোরিয়ানদের ত্বকের পরিচর্চা নেওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়।

Korean Skin Care: ত্বকের শুষ্কভাব কাটাতে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলুন, রইল ৫টি জরুরি টিপস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2022 | 10:24 AM

বিটিএস (BTS) বা ব্ল্যাকপিঙ্ক (BlackPink) এখন ভারতেও বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে বিটিএসের গ্য়াংকে নিয়ে বেশি মাত্রায় ক্রেজ রয়েছে টিনেজারদের মধ্যে। সেই সূত্রেই কোরিয়ান স্কিন কেয়ারও (Korean Skin Care) এখন এই দেশে ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। চকচকে মসৃণ ত্বকের জন্য খ্য়াত কোরিয়ান স্কিন কেয়ার এখন সকলেরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। নিশ্চিদ্র ও কাঁচের মত স্বচ্ছ ত্বকের জন্য কোরিয়ানরা সারা বিশ্বেই বিখ্য়াত। তাই এমন ত্বকের জন্য বাজারেও এসে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কোরিয়ান প্রসাধনী পণ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুক্তোর মত ত্বকের জন্য কোরিয়ানরা ফেস শিট মাস্ক ও চালের জল টোনার হিসেবে ব্যবহার করেন বেশি। এছাড়া এমন প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তাদের জিনেও রয়েছে এমন সৌন্দর্য হওয়ার মূলমন্ত্র।

অল্প বয়স থেকেই কোরিয়ানদের ত্বকের পরিচর্চা নেওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়। ত্বককে উজ্জ্বল রাখা, প্রতিদিনের রুটিন মেনে যত্ন নেওয়া , হাইড্রেটেড রাখা, সব বিষগুলিই যত্ন করে শেখানো হয়। এর জন্যই স্কিনের উজ্জ্বলতা দেখার মতন। তবে ভারতীয়দের স্কিনের টেক্সচারের সঙ্গে কখনও কোরিয়ানদের মেলে না। তবে তাদের মত স্কিনের কেয়ার নিলে কাচের মত স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উত্‍সবের মরসুমে স্কিনকে যদি কোরিয়ানদের মত উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে চান, তাহলে এই জরুরি টিপসগুলি কাজে লাগাতে পারেন।

ডবল ক্লিনজিং- কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল ডবল ক্লিনজিং। যদি মেকআপ করে থাকেন, তাহলে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হল এই কাজটি। ডবল ক্লিনজিংয়ের ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলি নিখুঁতভাবে পরিস্কার হয়। বিশেষত ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পেতে পারেন।

প্রধম ধাপ হল, একটি অয়েল-বেসড ক্লিনজার ব্যবহার করুন। ত্বকের উপরে জমে থাকে ময়লা ও মেকআপ তোলার জন্য এই ধরনের ক্লিনজার দারুণ কার্যকরী। দ্বিতীয় ধাপে, একটি ফোমিং ক্লিনজার বা সাবান-ভিত্তিক ক্লিনজার ব্যবহার করুন। তাতে ত্বকের ছিদ্রের উপর থেকে দূষণকারী একগুঁয়ে ময়লাগুলি পুরোপুরি নির্মূল হয়।

তোয়ালে ব্য়বহার করবেন না

এখানে বলে রাখা ভাল, অনেকেই হয়ত জানেন না, মুখ পরিস্কার করার তোয়ালে বা এমনি ব্যবহৃত তোয়ালেতে হাজার হাজার ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। মুখ পরিস্কার করার পর তোয়ালে দিয়ে মুছতে গেলে সেই ব্যাকটেরিয়া ফের ত্বকের মধ্যে লেগে যায়। ত্বক শুকিয়ে নেওয়ার পরও সেগুলি এড়িয়ে যাওয়া যায় না। পরিবর্তে ত্বকর পরিস্কার করার পর মুখতে স্বাভাবি বাতাসে শুকিয়ে নিতে পারেন। তাতে ত্বক থাকে কোমল, স্নিদ্ধ ও প্রাণবন্ত।

১০ সেকেন্ডের টিপস

স্নান করার পর বা মুখ পরিস্কার করার ১০ সেকেন্ডের মধ্য়ে ত্বকে ক্রিম, সিরাম ও টোনার প্রয়োগ করা সবসময় ভাল। ত্বক পরিস্কার ও স্নান করার পর ছিদ্রপথগুলি খোলা থাকে। আর সেইসময় যদি ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা পণ্যগুলির সেরা কাজ করার সুযোগ পায়। ত্বকের গভীরে গিয়ে শোষণের সুযোগ পায়। ক্রিম বা টোনারকে যত গভীরে যেতে দেওয়া হবে. ত্বকের জন্য ঠিক ততটাই ভাল।

ত্বকের ম্যাসাজ

ত্বকের স্তরগুলির চারপাশে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে ও ত্বককে সুস্থ , উজ্জ্বল রাখার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল ম্যাসাজ করা. ফেসিয়ালের মাধ্যমে ত্বকের ম্য়াসাজ করার প্রবণতা রয়েছে। কারণ এগুলির মাধ্যমে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। স্পা করলেও এর উপকারিতা পাওয়া যায়। বাড়িতেও করতে পারেন ত্বকের ম্যাসাজ। বেশিসময় ধরে না হলেও অল্প সময়ের মধ্য়ে ম্য়াসাজ করলে ফল পাওয়া যায় দ্রুত।

ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করার পর ভ্রু, নাকের চারপাশ, গলা, ঘাড়, মুখের পাশে ও চোয়ালের মাঝখানে আলতো করে টিপে ধরুন। ত্বককে টোনড করতে হালকা ম্যাসাজেই কাজ হয়। এছাড়া ভালভাবে যদি ম্যাসাজ করতে চান তাহলে সিরাম প্রয়োগ করে বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন গোটা মুখে। তাতে আপনার সুবিধা হবে ডবল। কারণ সিরাম ব্যবহার করার পর ম্যাসাজ করলে ছিদ্রপথে যেমন সিরাম প্রবেশ করে, তেমনি ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের বাড়িয়ে আরও সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তোলে।

হাইড্রেটিং করুন

শুষ্ক ত্বকের জন্য় নয়, বিশেষ করে শীককালে ত্বককে হাইড্রেটিং করতেও কোরিয়ান স্কিন কেয়ার কাজে লাগে। স্নানের পর ত্বক পরিস্কার করার পর কাছেই একটি ভিজে তোয়ালে রাখুন। এটি কিছুটা এয়ার হিউমিডিফায়ার হিসেবে কাজ করে। ঘরে শুষ্কতার মাত্রাও কমিয়ে আনে।