মন ভাল রাখতে চাইলে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে কিন্তু কিছু টিপস মেনে চলতেই হবে। মন থেকে শুরু করে ত্বক, চুল- সব যদি ঠিক থাকে তবেই কিন্তু ভাল থাকবে শরীর। আজকাল মানসিক চাপ, কর্মক্ষেত্রে চাপ সকলেরই রয়েছে। ঠিক সময়ে খাওয়া, ঘুম, শরীরচর্চা কোনওটাই হয় না। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। ত্বক আমাদের শরীরচর্চার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ত্বককে যতটা সম্ভব সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করুন। ত্বকের উপর বিভিন্ন হরমোনের প্রভাব পড়ে। এমনকী রোজকার জীবনের সমস্যা, দূষণ-সব কিছুই প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরে। গরমে বাড়ে যে কোনও ত্বকের সমস্যা। রোদে পোড়া কালো দাগ, ছোপ, ব্ল্যাক হেডস,পিম্পল এসব নানা সমস্যা বাড়ে গরমে। আর তাই গরমকালে ত্বকের সুরক্ষায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্লিনজিং মিল্কের ব্যবহার- গরমে ঘাম বেশি হয়। মুখে ধুলো-বালি জমে। তাই বাইরে থেকে ফিরলে তো ভাল করে মুখ ধোবেনই। সেই সঙ্গে বাড়িতে লথাকলেও অন্তত তিবনার মুখ ধুয়ে নিন। স্নানের সময় জলে সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এতে বাড়বে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য। সেই সঙ্গে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এছাড়াও কাঁচা দুধ, লেবুর রস আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। তাই দিয়েও মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। দুধ ত্বকের Ph ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দুধ আর হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে মাখলে যে কোনও ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ থেকে ত্বক রক্ষা পায়।
ময়েশ্চারাইজের ব্যবহার- শুধু যে শীতের দিনেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন তা কিন্তু নয়। গরমের দিনেও ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার। তবে তা যেন মুখে বসে না থাকে। তবে গরমে যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন না কেন তার গন্ধ যেন ভাল হয়। এই সময় কিন্তু ফ্রেশনেস খুবই জরুরি। তাই ফুলের সুগন্ধ বা যে গন্ধে মন ভাল থাকবে তেমনই কোনও সুগন্ধী বেছে নিন। এতে স্নায়ু শিথিল হবে। চাপও কমবে।
রোল অন ডিও- বগলে ঘাম হয় সবচেয়ে বেশি আর সেখান থেকে কিন্তু দুর্গন্ধও হয়। যে কারণে গরমে অনেক জামায় ওই জায়গায় কালো পানিছোপ পড়ে যায়। তাই রোল অন ডিও বেছে নিন যাতে অ্যালকোহল একেবারেই নেই। এতে আন্ডারআর্ম আরাম পায়, সেই সঙ্গে গন্ধ দূর হয় এবং ব্যাকটেরিয়াও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
সানস্ক্রিনের ব্যবহার- গরমে সানস্ক্রিন তো অবশ্যই ব্যবহার করবেন। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন অ্যালোভেরা হয়েছে এমন কিছু ব্যবহার করতে। সানস্ক্রিন লোশনের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে নিতে পারেন,সেই সঙ্গে SPF-15 যুক্ত অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা আমাদের ত্বককে আর্দ্র রাখে। সেই সঙ্গে ত্বকের গভীরে গিয়ে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করে।
শাওয়ার জেল ব্যবহার করুন- সাবান আমাদের ত্বককে বেশি রুক্ষ্ম করে দেয়। পরিবর্ত হিসেবে সুন্দর গন্ধযুক্ত শাওয়ার জেল ব্যবহার করুন। এতে ত্বক সতেজ ও নরম থাকবে। অতিরিক্ত ময়লা, মৃত কোশ, ঘাম, তেল সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। লেবু, ওয়াটারলিলি বা ল্যাভেন্ডারের গন্ধযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারলে কিন্তু সবচাইতে ভাল।