প্রতি বছর আপনার একধাপ করে এগিয়ে যাবেন বার্ধক্যের দিকে। আর বয়স যত বাড়বে মুখের উপর বার্ধক্যের ছাপ স্পষ্ট হবে। চোখের কোণে কালচে দাগ, কপালে ভাঁজ, গালের চামড়া ঝুলে পড়া—এগুলোই জানান দেয় যে আপনার বয়স বাড়ছে। কিন্তু বয়সকে তো আর বেঁধে রাখা যায় না। কিন্তু ত্বকের বার্ধক্যকে আপনি প্রতিরোধ করতে পারবেন। অন্তত সময়ের আগে যাতে মুখের চামড়া কুঁচকে না যায়, তার সমাধান আপনার হাতের মুঠোয় রয়েছে। এর জন্য নামীদামি নাইট ক্রিম, প্রতিমাসে ফেসিয়াল করানোর দরকার নেই। এমনকী কোনও কেমিক্যাল পণ্যের ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। নিয়মিত নারকেল তেল মাখলেই আপনার ত্বকের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
নারকেল তেলকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করুন। এই প্রাকৃতিক উপাদানের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং, নারকেল তেল ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের কোলাজন উৎপাদন এবং কোষের মেরামতের কাজ করে। এতে মুখের চামড়া সহজে ঝুলে পড়ে না। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তোলে সূক্ষ্মরেখা ও বলিরেখা। এই সমস্যাকে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিরোধ করে নারকেল তেল। নারকেল তেল সহজেই প্রতিরোধ করে সূক্ষ্মরেখা ও বলিরেখা। পাশাপাশি বাড়িয়ে তোলে ত্বকের জেল্লা।
বার্ধক্য রুখতে যে উপায়ে ব্যবহার করবেন নারকেল তেল-
১) রাতে ঘুমনোর আগে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে ত্বকের উপর মালিশ করুন। ত্বক সম্পূর্ণরূপে তেল শুষে নেওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে পারেন। এই অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ুন। নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করুন নারকেল তেল। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং বলিরেখার সমস্যা কমে যাবে। নারকেল তেলের মধ্যে লাউরিক অ্যাসিক ও ক্যাপ্রিলিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
২) অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। ১ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, ১ চামচ জল ও কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার তুলোর বলের সাহায্যে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি শুকনো হয়ে গেলে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে মুখের উপর মালিশ করুন। এই অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৩) ৩ ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল নিন। এর সঙ্গে ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এবার এই তেলের মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে ত্বকের উপর মালিশ করুন। ত্বকের সঙ্গে তেলটা ভালভাবে মিশে যাওয়া অবধি মালিশ করুন। রাতে এই কাজটা সেরে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতেও ধীরে-ধীরে বলিরেখার সমস্যা কমে যাবে।