সঠিক রূপচর্চার পণ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোনও কোনও ক্রিম অত্যন্ত ঘন, আবার কোনওটা পাওয়া যায় জেল আকারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, প্রসাধনী পণ্য সুগন্ধ যুক্ত হয়। জেল, ক্রিম, বডি লোশন থেকে শুরু করে ফেসওয়াশ, শাওয়ার জেল, সাবান, শ্যাম্পু সব কিছুতেই গন্ধ থাকে। এই সুগন্ধই কিন্তু আপনার মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। অনেকের মতে, সুগন্ধযুক্ত যে কোনও পণ্যই ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। আবার অনেকের ধারণা, প্রাকৃতিক গন্ধযুক্ত প্রসাধনী পণ্য ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না। কিন্তু আসল সত্যিটা কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রসাধনী পণ্যের গন্ধ দু’রকমের হয়। প্রাকৃতিক এবং সিন্থেটিক। প্রাকৃতিক সুগন্ধ প্রাকৃতিক উপাদান থেকে আসে। যেমন এসেনশিয়াল অয়েল। চা গাছের তেল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, গোলাপ জল ইত্যাদি তৈরির জন্য প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের পণ্যে যে গন্ধ থাকে, তা ওই সব প্রাকৃতিক উপাদান থেকেই আসে। এগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের কোনও ক্ষতি হয় না। সমস্যা তৈরি হতে পারে সিন্থেটিক সুগন্ধের ক্ষেত্রে।
সিন্থেটিক সুগন্ধ প্রাকৃতিক নয়। যে সব ক্রিম কিংবা ময়েশচারাইজারে গন্ধ থাকে না, সেখানে ব্যবহার করা হয় এই সিন্থেটিক সুগন্ধ। সিন্থেটিক সুগন্ধ আলাদা ভাবে তৈরি করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুগন্ধ যুক্ত প্রসাধনী পণ্য ত্বকের জন্য ভাল নয়। এই ধরনের প্রসাধনী পণ্য ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। ত্বক প্রদাহ সৃষ্টি করে। আপনার যদি ত্বকের কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে সুগন্ধ যুক্ত পণ্য ব্যবহার না করাই ভাল।
যদিও এই সিন্থেটিক সুগন্ধ বা সুগন্ধ যুক্ত পণ্যের আরও একটি ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। প্রসাধনী পণ্যে গন্ধ যোগ করার জন্য phthalates নামক একটি ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিক পণ্য ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ক্রিম, বডি লোশন থেকে শুরু করে লিপস্টিক, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার তৈরিতেও এই ক্ষতিকারক রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করা হয়।
ত্বকের দেখভাল করার জন্য গন্ধহীন প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করাই ভাল। এতে ত্বকে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে না। প্রাকৃতিক গন্ধযুক্ত পণ্য খুব বেশি প্রভাব ফেলে না ত্বকের উপর। আর যদি সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেন, এটি ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপকারী। সুগন্ধ যুক্ত প্রসাধনী পণ্য একেবারে এড়িয়ে চলুন। এতে ত্বকের উপর অ্যালার্জি, প্রদাহ ইত্যাদির ঝুঁকি তৈরি হয়।