চুল পড়ে যাওয়া, খুশকি, রুক্ষ ও শুষ্ক চুল, দু’মুখো চুল- এই সব সমস্যা যেন লেগেই রয়েছে। আর এই সব সমস্যার সঙ্গে লড়াই করার জন্য আপনি বার বার আপনার হেয়ার কেয়ার পণ্য (Hair Care Product) পরিবর্তন করছেন। নামী-দামি ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করেও বিশেষ যে কিছু লাভ হচ্ছে তা একদমই নয়। তাহলে ভরসা রাখবেন কীসে? ভারতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্র প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের শরীর, ত্বক, চুল সর্বোপরি আমাদের জীবনধারার (Lifestyle Tips) ওপর পক্ষপাত করে। একই ভাবে, চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধানও রয়েছে আয়ুর্বেদের কাছে।
সম্প্রতি আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আয়ুর্বেদিক উপায়ে কীভাবে চুল ভাল রাখা যায় সেই সম্পর্কে তিনি যাবতীয় তথ্য শেয়ার করেছেন। আপনি যদি দীর্ঘ দিন ধরে চুলের সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং কোনও সমাধান না খুঁজে পান তাহলে আজ থেকে আয়ুর্বেদের এই উপায়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন।
ডায়েটের দিকে নজর দিন:
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের মতে ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। এর জন্য আমলকী, কিউই, মিষ্টি আলু, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, কমলালেবু, বেরি, পেঁপে খান। চুলের ফলিকল উন্নত করতে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান। স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন মিষ্টি আলু, গাজর, কুমড়ো ইত্যাদি খান।
এছাড়াও ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পালং শাক, গোটা শস্য এবং মটরশুটি থেকে গাঢ় শাকসবজি থেকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়, সেগুলোকে ডায়েটে রাখুন। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন- ঘি, তিলের বীজ, শণের বীজ, জলপাই তেল, নারকেল তেলও চুলের পুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চুলের ধরন অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে চুলে তেল মালিশ করুন:
মসৃণ ও ঘন চুল পেতে হলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তেল মালিশ করুন। আয়ুর্বেদ মতে তেল ব্যবহার করলে একাধিক উপকার পাওয়া। সপ্তাহে এক বা দু’বার তেল মাখলে চ্যল মসৃণ হয়। শুকনো, পাতলা, ফ্রিজি চুলের সমস্যা দূর হয়ে যায় সহজেই। এর জন্য আপনি বাদাম, তিল বা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
নাসারন্ধ্রে তেল দিন:
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের মতে, সকালে বা রাতে শোয়ার সময় নাসারন্ধ্রে ঘি বা তেল লাগালে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এই উপায় চুল পড়া কমায় সেই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। এর পাশাপাশি এই পদ্ধতি ভাল ঘুমকেও প্রচোরিত করে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।