খুশকির সমস্যা এখন বছরভর লেগেই থাকে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যতই পরিচর্যা করা হোক না কেন কিছুতেই তা দূর করা যায় না। বর্ষাকালে চুলের সমস্যা আরও বেশি হয়। কারণ বৃষ্টির জলের জলে প্রায়শই চুল ভিজে তাকে। আবহাওয়ার কারণে চুল ভাল করে ধুলেও তা ঠিকমতো শুকনো করার সুযোগ থাকে না। এছাড়াও চুলের গোড়ায় ঘাম বসে নোংরা জমে যায়। সব মিলিয়ে ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যার সঙ্গে বাড়ে খুশকির সমস্যাও। খুশকি হল মাথার ত্বকের শুকনো মৃত কোষ৷ চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে তখনই খুশকি ভাল করে বোঝা যায়। গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে পোশাকে লেগে থাকে। তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের তাঁদের ক্ষেত্রে এই খুশকির সমস্যা কিন্তু সবচাইতে বেশি। খুশকির সমস্যা বাড়লে তার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। আর তাই আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার খুশকি সারানোর জন্য দিচ্ছেন বিশেষ টিপস।
বাজারে নানা রকমের অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পু পাওয়া যায়। পাওয়া যায় নানা সলিউশনও। তবে এই সব টোটকায় যে খুব ভাল কাজ হয় এমনটা কিন্তু নয়। এর চেয়ে ঘরোয়া এবং আর্য়ুবেদিক টোটকায় সবচাইতে ভাল কাজ হয়।
নিম- আর্য়ুবেদিক টোটকা হিসেবে নিম পাতা খুবই ইপকারী। এর মধ্যেকার যে সমস্ত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা যে কোনও সংক্রমণ রোধে ভাল কাজ করে। বর্ষাকালে বিভিন্ন ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয় চুলে। সেই সঙ্গে থাকে খুশকিও। রোজ নিমপাতা চিবিয়ে খেতে পারলে যেমন সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে, রক্ত পরিষ্কার হয় তেমনই নিমপাতা ফোটানো জলে চুল ধুতে পারলেও কিন্তু খুসকির সমস্যাও দূর হয়।
টকদই-ত্রিফলা চূর্ণ- টকদই ফেটিয়ে ওর মধ্যে এক চামট ত্রিফলাচূর্ণ মিশিয়ে নিন। এবার তা সারারাত রেখে দিন। এই মিশ্রণটা ৩০-৪০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন চুলে। এরপর নিম ফোটানো জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
নারকেল তেল- নারকেল তেলের সঙ্গে বোরক্স পাউডার মিশিয়ে রাখুন। এই তেল সারারাত মাথায় লাগিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে কিছুক্ষণ অ্যালোভেরা জেল আর মধু মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। এতে চুল নরম হবে।
মেথিদানা- সারারাত তিন চামচ মেথিদানা ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা বেটে নিয়ে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় লাগান। একঘন্টা রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুল ভাল থাকবে। খুশকির সমস্যাও দূর হবে।
নারকেল তেল আর লেবু- নারকেল তেলের মধ্যে টকদই, লেবুর রস আর মেথি দানা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ২ ঘন্টা রেখে মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩ দিন এই টোটকা ব্যবহার করতে পারলে উপকার পাবেন।