কথায় আছে, যার নেই কোনও গুণ, সে হল বেগুন। বেগুন একটি সবজি হলেও উদ্ভিতগতভাবে এটি ফল হিসেবেই স্বীকৃত। ভারতের সব প্রাণ্তেই বেগুনের কদর রয়েছে। এতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ, অ্য়ান্টি-অক্সিডেন্ট। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের পুষ্টিগুণ, যা ত্বকের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যের দিক থেকে বেগুনের উপকারিতা যেমন আছে, তেমনি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বেগুণের হাজারো গুণ রয়েছে।
নরম ও মসৃণ ত্বক
বেগুনে প্রায় ৯২ শতাংশ জল থাকে। হাইড্রেশনের জন্য ও ত্বককে সুস্থ রাখতে চাই প্রচুর পরিমাণে জল। নিয়মি বেগুন খেলে ত্বককে হাইড্রেট করতে ও ময়েশ্চারাইজড করতে সাহায্য করেন। তাতে ত্বক মৃণ ও কোমল হয়।
স্কিন টোনার
বেগুনের সাদা অংশটি একটি চমত্কার স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধিতে ও রিঙ্কেলস দূর করতে এই গুরুত্বপূর্ণ সবজির বিকল্প নেই। জল দিয়ে পরিস্কার করে ফ্রিজের মধ্যে ঠান্ডা করে রেখে স্কিন টোনার হিসেবে বেগুন ব্যবহার করতে পারেন।
অকাল বার্ধক্যের প্রক্রিয়া হ্রাস করে
সাধারণত সবুজ শাকসবজিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বর্তমান থাকে। শরীরে ফ্রি-র্যাডিকালগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বকের কোষর উপর থেকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নির্মূল করতে দারুণ কার্যকরী এই বেগুন। এটি ক্যানসার প্রতিরোধক ও ত্বকের বলিরেখা, ফাইন লাইনস, কালচে দাগ, অকাল বার্ধক্যের দাগ ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পারেন দ্রুত।
চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
বেগুনে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা স্বাস্থ্যকর এমজাইমের মতো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এর ফলে চুলের বৃদ্ধিতে উত্সেচক হিসেবে বেগুন ভীষণ ভাল একটি উপকরণ। মাথার চুল ও ত্বকের অক্সিডেটিভ স্টেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট! গুণের বহর দেখলে অবাক হবেন