তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সবচেয়ে বেশি মুলতানি মাটি ব্যবহার করা হয়। মুলতানি মাটি ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা তেল, ময়লা, জীবাণু সবকিছু পরিষ্কার করে দেয়। মুলতানি মাটি ব্যবহারের পর তৈলাক্ত ত্বকে আর চিটচিটে ভাব থাকে না। কিন্তু শুষ্ক ত্বকে কি মুলতানি মাটি ব্যবহার করা যায়? বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, শুষ্ক ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি উপযুক্ত নয়। যেহেতু মুলতানি মাটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়, তাই শুষ্ক ত্বকের যত্নে এই উপাদান ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুষ্ক ত্বকেও ব্যবহার করা যায় মুলতানি মাটি।
মুলতানি মাটি ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে। এই উপাদানটি ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রদাহ দূর করে ত্বকের উপর আরাম প্রদান করে মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটির মধ্যে শীতল প্রভাব রয়েছে। এটি ব্রণ, জ্বালাভাব, লালচে ভাব ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। এমনকী মৃত কোষ অপসারণে সাহায্য করে মুলতানি মাটি। প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন মুলতানি মাটি। বলিরেখা প্রতিরোধে সাহায্য করে মুলতানি মাটি।
শুষ্ক ত্বকে মুলতানি মাটি ব্যবহার করবেন যে উপায়ে-
মুলতানি মাটি ও মধুর ফেসপ্যাক
১ চা চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চা চামচ মধু ও ১ চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। মুলতানি মাটি মুখ থেকে সমস্ত ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। অন্যদিকে, মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে দেয়। এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
মুলতানি মাটি ও টক দইয়ের ফেসপ্যাক
১ চা চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চা চামচ দই মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। প্রথমে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর এই ফেসপ্যাক মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার সময় হালকা হাতে মাসাজ করতে করতে ত্বক পরিষ্কার করুন। এরপর মুখে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতেই দেখবেন আপনার ত্বকের জেল্লা বেড়ে গিয়েছে।