শীতকাল এলেই জাঁকিয়ে বসে খুশকির সমস্যা। যত ভালই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন না কেন, খুশকির পিছু ছাড়ে না। অ্যান্টি-ডানড্রফ শ্যাম্পু মেখেও খুব ভাল ফল পাওয়া যায় না। উল্টে চুল আরও রুক্ষ হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় কাজে আসতে পারে টি ট্রি অয়েল। শ্যাম্পুতে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাখলে খুশকির সমস্যা নিমেষে দূর হবে। চুল পড়া, খুশকি, স্ক্যাল্পে চুলকানির মতো হাজারো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় টি ট্রি অয়েল। টি ট্রি অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা খুশকি পরিষ্কার করে এবং শুষ্ক স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা জোগায়। কিন্তু টি ট্রি অয়েল সরাসরি চুলে লাগানো যায় না। এমনকি বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলেও আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই খুশকি তাড়াতে কীভাবে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করবেন, রইল টিপস।
শ্যাম্পু: বাজারে টি ট্রি অয়েল দেওয়া শ্যাম্পু পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, তাতে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
হেয়ার অয়েল: চুলে নিয়মিত তেল মাখলে খুশকির সমস্যা আপনাকে বিরক্ত করবে না। তাছাড়া তেল মালিশ করলে স্ক্যাল্প ভাল থাকে এবং নতুন চুল গজায়। আপনি যে কোনও তেলের সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন। সেরা ফলাফল পেতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
হেয়ার মাস্ক: শীতের দিনে হেয়ার মাস্ক আপনার চুলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রদান করেন। বাজারচলতি যে কোনও হেয়ার মাস্কে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা দই, ডিম, মধু কিংবা মুলতানি মাটির তৈরি হেয়ার মাস্কে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
হেয়ার স্প্রে: এক স্প্রে বোতলে এক কাপ জল নিন। এতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। তৈরি চুলের জন্য স্প্রে। এই মিশ্রণটি আপনি স্ক্যাল্পে ও চুলে স্প্রে করতে পারেন। চিরুনি দিয়ে চুল ভাল করে আঁচড়ান এবং ভাগ-ভাগ করে চুলের গোড়ায় এটি স্প্রে করুন। এতেও খুশকির সমস্যা দূর পালাবে।