নিজের ত্বক নিয়ে কেউই খুশি নয়। যতই ত্বক ঠিক থাকুক না কেন তবুও এই ত্বক নিয়ে মনের মধ্যে একটা খুঁতখুঁতানি সকলের থাকে। বার বার করে আয়নায় মুখ দেখা, ১৪ বার ক্রিম ঘষা, ফেসিয়াল, স্ক্রাবিং এসব চলতেই থাকে। তবে গরমের দিনে সব রকম ত্বকেই একটু সমস্যা হয়। সবথেকে বেশি সমস্যা হয় শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে। একে গরম তার উপর দূষণ, এতে মুখে ময়লা বেশি জমে। রোদে বেরোলে মুখে সানস্ক্রিন সকলেই মাখেন। এবার এর উপর কয়েক পোচ ধূলো, বালি ময়লা জমলেই সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে তাই মুখ ভাল করে ধুয়ে নিন। তাপপ্রবাহের কারণে বাড়ছে বাইরের তাপমাত্রাও। তাই মুখ কে ঠান্ডার অনুভূতি দেওয়াটা খুব জরুরি।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল কাজ করে কাদামাটি। যে সে কাদামাটি নয়, এ হল মুলতানি মাটি। গরমের দিনে এই মুলতানি মাটি ত্বকের জন্য খুব ভাল কাজ করে। এতে মুখ ঠান্ডা থাকে আর মুখের অতিরিক্ত তেলও পরিষ্কার করা যায়। ব্রণ, পিম্পল এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী হল এই মুলতানি মাটি।
মুলতানি মাটি আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের গুণাগুণ। ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করতে তা ভীষণ রকম কার্যকরী। মুলতানি মাটি আর মধু দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে রোজ রাতে লাগান কাজ হবেই।
এছাড়াও মুলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়েও প্যাক বানাতে পারেন। মুলতানি মাটি, টকদই আর গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। স্নানের আগে তা ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে এলে ইষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন। রোজ করতে পারলে ফিরবে মুখের জেল্লা। মুখে pH এর সমতা বজায় রাখতে খুব ভাল কাজ করে এই ফেসপ্যাক। অনেকে ফেসিয়ালের প্যাক হিসেবেও ব্যবহার করেন এই ফেসপ্যাক।
ত্বক তখনই ভাল থাকে যখন ত্বকে সঠিক পরিমাণ কোলাজেন উৎপন্ন হয়। মুলতানি মাটি এই কোলাজেন তৈরি হতে সাহায্য করে। মুলতানি মাটি, কস্তূরি হলুদ, মধু, চন্দন বাটা, গোলাপ জল আর টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। এবার তা মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে নিয়ে ধুয়ে নিন। রোজ করতে পারলে জেল্লা ফিরবেই আর সঙ্গে থাকবে ঠান্ডার অনুভূতি।