তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই! মুখ বেশি তেলতেলে দেখায়,বার বার মুখ ধুতে হয়, ব্রণে মুখ ভরে যায়, এমন আরও কত সমস্যা! কীভাবে যত্ন নিলে সমস্যাগুলো কমিয়ে আনা যায়, এই বিষয়গুলো আগে বুঝতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের কারণ হচ্ছে জেনেটিকাল ও হরমোনাল ইমব্যালেন্স। এছাড়া আবহাওয়াগত কারণ ও ডায়েটের উপরও এটি নির্ভর করে। শরীরে যদি তেল উৎপাদনকারি হরমোন বেশি একটিভ থাকে, সেক্ষেত্রে স্কিনে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়। মুখ ধোওয়ার কিছু সময় পরেই আবার তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া, এনলার্জ পোর বোঝা যাওয়া, চকচকে এবং পিচ্ছিল একটা ভাব থাকা এগুলোও অয়েলি স্কিনের বৈশিষ্ট্য। ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাবেন তার কয়েকটি উপায় দেওয়া রইল…
শসা ও মুলতানি মাটি
২-৩ টেবিলস্পুন মুলতানি মাটিরসঙ্গে ৫-৬ ফোঁটা রোজ ওয়াটার মেশান। একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার তাতে লেবুর রস ও শসা মিশিয়ে পেস্টটি আরও ঘন তৈরি করুন। এই ফেসপ্য়াকটি ফ্রিজে কনটেনারের মধ্যে রেখে দিলে বহুদিন ধরে থাকে। মুখের মধ্যে এই পেস্টটি ব্যবহার করার ১০মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক আগের তুলনায় বেশি তরতাজা ও ফ্রেশ লাগবে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ত্বক আর্দ্রভাব লক্ষ করতে পারবেন।
বেসন আর দই
২ টেবিলস্পুন বেসন আর এক টেবিলস্পুন দই বা দুধ মিশিয়ে একটি ফেস প্যাক তৈরি করতে পারেন। তাতে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে প্যাকটি মুখের মধ্যে লাগিয়ে রাখুন। এই প্যাকের কারণে ত্বকের ব্রণ ও পিম্পলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরির প্রাকৃতিক গুণ, অন্য়দিকে বেসন ও দইয়ের জেরে টানটান ও উজ্জ্বল ত্বক হয়ে।
এগ হোয়াইট ফেস মাস্ক
একটি ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটিয়ে নিন । ডিম ফেটিয়ে ফেনা ফেনা হয়ে এলে তাতে এক টেবিলস্পুন দই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখের মধ্যে এই প্যাকটি লাগানোর পর যতক্ষণ না শুকিয়ে যাচ্ছে. ততক্ষণ জল দিয়ে ধোবেন না। শুকিয়ে গেলে অল্প গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার করলে উপকার পাবেন।