বঙ্গে শীত এসে গিয়েছে। গরম পোশাকের ওম আর কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে শীতের আমেজ উপভোগ করছেন। কিন্তু শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের ক্ষতি করছে, সে দিকে কি খেয়াল রয়েছে? এই শীতেই সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পা ফাটার সমস্যা। পায়ের যত্ন নিতে নিয়ম করে পেডিকিওর করার সময় নেই। তাছাড়া এতে পার্লারে গিয়ে গাঁটের কড়িও খসাতে হয়। তাই বাড়িতেই এক্সফোলিয়েটর, ক্রিমের সাহায্য নেন অনেকেই। কিন্তু তাতেও কি সমস্যার সমাধান হয়? শীতে মোজা পরে থাকলে অনেকটা উপকার মেলে। আর মোজার ভিতর যদি একটা কাঁচা পেঁয়াজের টুকরো রাখেন তাহলে আরও উপকার মিলবে।
শীতে অনেকেই রাতে মোজা পরে ঘুমান। এতে পা গরম থাকে। আর যদি মোজার ভিতর এক টুকরো কাঁচা পেঁয়াজ রেখে দেন তাহলে আরও উপকার পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে মোজার ভিতর এক টুকরো কাঁচা পেঁয়াজ রাখলে এটি ঠান্ডা লাগা, জ্বর এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পেঁয়াজের মধ্যে সালফারের মতো মিনারেল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শীতে ত্বকেরও যত্ন নেয়।
পা ফাটার সমস্যায় পেঁয়াজ ভীষণ কার্যকর। পেঁয়াজের মধ্যে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো মিনারেল রয়েছে। পাশাপাশি এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও ই ত্বকের জন্য দারুণ উপযোগী। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য এই উপাদানগুলো খুব জরুরি। কিন্তু পা ফাটার সমস্যায় পেঁয়াজ কী ভাবে ব্যবহার করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক…
পেঁয়াজের রস পা ফাটার সমস্যা দূর করে। একটা পেঁয়াজ মিক্সিতে পেস্ট বানিয়ে নিন। পেঁয়াজের পেস্ট থেকে রস বের করে নিন। এবার ওই পেঁয়াজের রসে এক চামচ অলিভ অয়েল এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা পা ফাটার স্থানে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকনো হয়ে গেলে ঠান্ডা জলে পা ধুয়ে নিন। গরম জল ব্যবহার করবেন না। গরম জল ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। পেঁয়াজের রস সপ্তাহে তিন থেকে চারবার পায়ে ব্যবহার করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে পা ফাটার সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে।