তাতাপোড়া গরমের পর বৃষ্টির জল গায়ে পড়লে সকলেরই আরাম লাগে। তবে এবছর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি সবচাইতে বেশি। সেই সঙ্গে বৃষ্টির ওয়েদারে নানা কিছু মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসঘটিত রোগ-ভোগের প্রকোপও। যে কারণে বর্ষায় শরীরে একাধিক সংক্রমণ দেখা যায়। তার প্রভাব পড়ে ত্বক থেকে চুলে। এই সময় প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরে যায়। এছাড়াও ব্রণ, অ্যালার্জির সমস্যা সবচাইতে বাড়ে এই সময়েই। যে কারণে বর্ষায় ত্বককে ভাল রাখতে ত্বকে নোংরা জল যেমন লাগানো চলবে না তেমনই এড়িয়ে চলতে হবে বেশ কিছু খাবারও। যেমন-
দুগ্ধজাত খাবার- বর্ষায় পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যা বাড়ে। আর তাই তালিকা থেকে প্রথমেই বাদ দিন দুধ আর দুধের তৈরি খাবার। এছাড়াও বর্ষায় বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে বলে হজম প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়। ফলে হরমোনগুলো ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। যে কারণে ব্রণ, পিম্পল খুব তাড়াতাড়ি জাঁকিয়ে বসে। মুখে সহজেই কালো দাগ রয়ে যায়।
অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার- চিনি বেশি রয়েছে এরকম খাবার কিন্তু একেবারেই খাবেন না। এর ফলে ত্বকে দাগ-ছোপ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ আরও অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তাই মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংক, চকোলেট, কেক, আইসক্রিম, ময়দা, আলু, ভাত এসব থেকে দূরে থাকুন।
ভাজা খাবার- বর্ষায় তেলেভাজার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার খেলে ত্বকের দফারফা হয়ে যায়। এদিকে গরম চা আর পকোড়া হলে এমন দিনে আর কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু সুস্থ থাকতে তেলেভাজা একেবারে বাদ দিতেই হবে। বর্ষায় তেল, মশলা, ভাজা খাবার যত কম খাবেন ততই ভাল। এতে ব্রণর সমস্যা বাড়ে, চুলও বেশি পড়ে।
শাক- বর্ষায় এমনিই শাক-পাতা এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। কারণ এই শাক-পাতা বেশি খেলেই সেখান থেকে বাড়ে সংক্রমণজনিত সমস্যা। তবে শাক শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি দেয়। কারণ শাকের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। সেই সঙ্গে শাকের মধ্যে থাকে আয়োডিন। যেখান থেকে ব্রণর সমস্যা বতে পারে। তাই শাক খেতে ভালবাসলেও বর্ষায় একেবারেই বাদ দিন। শাকের থেকে তখন ত্বকের সমস্যায় বেশি খরচ হয়ে যাবে।