রোজের জীবনযাত্রা নিয়ম করে চুলের যত্ন নেওয়ার সময় পাওয়া যায় না। চুলের যত্ন বলতে শ্যাম্পু, কন্ডিশনারের মধ্যেই আটকে রয়েছেন বেশিরভাগ তরুণী। খুব বেশি সময় থাকলে তেল মাখেন অনেক। তাছাড়া সঠিকভাবে চুল আঁচড়ানো, চুল বেঁধে রাখা এগুলোও অনেকে নিয়ম করে করেন না। যার জেরে চুল নষ্ট হতে থাকে। চুলে ফ্রিজিনেস বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে দূষণ রয়েছে। আর রয়েছে মানসিক চাপ। হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন আপনি। মানসিক চাপের কারণেও নষ্ট হতে থাকে আমাদের চুল। যদিও চাপ কমালেই যে চুলের হাল ফিরবে তা কিন্তু নয়। আর এত কিছু জানার পরও আপনি রাসায়নিক পদার্থে সমৃদ্ধ প্রসাধনী পণ্যগুলোকেই আপনি বেছে নেবেন। তবে, তার আগে চুলে একবার কলা মেখে দেখতে পারেন।
কলার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং সিলিকন রয়েছে যা রুক্ষ-শুষ্ক চুলে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে। কলার তৈরি হেয়ার প্যাক চুলে কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এতে আপনার চুল বাউন্সি হয় এবং চুলের দেখভাল করা অনেক সহজ হয়। তাছাড়া কলার মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে, যা খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
দীর্ঘ সময় ধরে হেয়ার স্টাইলিং পণ্য ব্যবহারের ফলে চুলে বিষাক্ত পদার্থ জমতে থাকে, চুল পড়তে শুরু করে। সুতরাং, একদিন ব্যবহার করেই আপনি ফল পেয়ে যাবেন এমনটা নয়। কিন্তু আপনাকে চুলের জন্য সঠিক পণ্য বেছে নিতে হবে। চুলের ধরন এবং প্রকৃতি অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তার সঙ্গে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন। আর চুলের বাড়তি যত্ন নিতে কলার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুল সুন্দর ও নরম থাকবে।
কলার হেয়ার মাস্ক-
পাকা কলা নিয়ে ম্যাশ করে নিন। এতে ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ভাল করে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। পেস্টটা মসৃণ হলে ভাল করে চুলে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
চুলের ফ্রিজিনেস দূর করতেও আপনি কলার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কন্ডিশনার বানিয়ে নিন কলা দিয়ে। ১ চামচ কন্ডিশনার নিন। এতে অর্ধেক কলা ম্যাশ করে মিশিয়ে দিন। এবার এতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ অলিভ অয়েল, ২ চামচ টক দই এবং ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিন। এই হেয়ার মাস্ক ২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনি মসৃণ চুল পেয়ে যাবেন।