গরমে ঘামের কারণে নানা রকম সংক্রমণ বাড়ে। এছাড়াও শুষ্ক আবহাওয়াতে শরীর তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে নানা রকম অসুবিধেও জাঁকিয়ে বসে। গরম বাড়ছে বলে যে বাড়িতে বসে থাকা যাবে তা একেবারেই নয়। কাজের প্রয়োজনে রোজই আমাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়। আর বাড়ি থেকে বেরোলে বাইরের বাথরুমও আমাদের ব্যবহার করতে হয়। বাইরের বাথরুম ব্যবহার করলে সেখান থেকে যেমন ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে তেমনই যোনিমুখ বা ভ্যাজাইনাও শুষ্ক হয়ে যায়। এছাড়াও একটানা অনেকক্ষণ অর্ন্তবাস পরে থাকার জন্য ঘামও হয়। আর তাই সেখান থেকে ব্যথা, জ্বালা-সহ একাধিক সমস্যা আসে। এই কারণে গরমের দিনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতেই হবে। সেই সঙ্গে আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে, বেশি করে জল খেতে হবে। রোজ ইন্টিমেন্ট ওয়াশ ব্যবহার করাও যে খুব স্বাস্থ্যকর তা কিন্তু জোর দিয়ে বলছেন না চিকিৎসকেরাও। বরং কাজে লাগাতে পারেন এই কিছু ঘরোয়া টোটকা।
ভ্যাজাইনাল ইচিং রুখতে খুব ভাল কাজ করে বেকিং সোডা। এক মগ জল নিয়ে তার মধ্যে ১/৪ কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে দিন। এবার তা দিয়ে ভ্যাজাইনা খুব ভাল করে ধুয়ে নিন। এতেও সমস্যার সমাধান হয়।
স্নানের জলে সামান্য অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এবার এই জল দিয়ে খুব ভাল করে যোনিপথ পরিষ্কার করে নিন। এতে অনেক রকম ইনফেকশন থেকে দূরে থাকা যায়। শরীরের জন্যেও কিন্তু ভাল।
ভ্যাজাইনা খুব বেশি শুষ্ক হয়ে গেলে, জ্বালা করলে, টুলকোলে সেক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে নারকেল তেল। তবে এক্ষেত্রে খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। নইলে সেখান থেকে নানা রকম সমস্যা আসতে পারে। নারকেল তেল রাতের দিকে ব্যবহার করাই ভাল।
এখন অনেক রকম অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম পাওয়া যায়। সংক্রমণ রুখতে সেই সব ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। ভ্যাজাইনাল ইচিং এর ক্ষেত্রে এই সব ক্রিম খুব ভাল কাজে দেয়। গরমের দিনে খুব ভাল যদি রোজ একবাটি করে দই খেতে পারেন। যে কোনও সংক্রমণ রুখে দিতে টকদই এর জুড়ি মেলা ভার। তাই রোজ একবাটি করে দই খান। পাশাপাশি খাঁটি টকদই হলে তা যোনিমুখে ব্যবহারও করতে পারেন। এছাড়াও রোজ নিয়ম করে প্রচুর জল খান। যোনিপথ পরিষ্কার রাখুন। নিজে পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন। সুতির অর্ন্তবাস পরবেন। এবং তা রোজ কাচা, ধোওয়া কিন্তু জরুরি।